পুণের লোহেগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমার আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ উঠল ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। বিমানবন্দরে ওই বৃদ্ধা দাবি করেন, তাঁর শরীরে বোমা লাগানো রয়েছে। এই বলে তিনি বিমানবন্দরের মধ্যেই চিৎকার করতে শুরু করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা মহিলার তল্লাশি চালান। কিন্তু, বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরে বোমার আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে ওই বৃদ্ধাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর ‘বোমা’ দিয়ে ওড়ানোর টুইট! ছাত্রের হাতে পড়ল হাতকড়া
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নীতা প্রকাশ কৃপালানি (৭২)। তিনি গুরগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের বাসিন্দা। একটি বিমানে ওঠার আগে তিনি নিরাপত্তা স্ক্রীনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘মেরে চারো তরফ বম্ব লাগা হ্যায় (আমার শরীরে বোমা রয়েছে)।’ এরপরে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কর্মীরা তৎপরতা সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আশেপাশের যাত্রীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বৃদ্ধার শরীর পরীক্ষা করা হয়। তবে কোনও ধরনের বোমা উদ্ধার হয়নি। তাছাড়া বোমার মতো কোনও বস্তুও পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও, কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিআইএসএফ কর্মীরা বৃদ্ধাকে আটক করে। বৃদ্ধার পুরো শরীর পরীক্ষার জন্য এবং কোনও বিস্ফোরক রয়েছে কি না তা জানার জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল। যদিও পরে জানা যায়, বৃদ্ধ মিথ্যে বলেছেন। সিআইএসএফ কর্মীরা বৃদ্ধাকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা বোমার আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য একটি মামলা নথিভুক্ত করে।
ভিমান্তাল থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর বিলাস সোন্দে বলেছেন, ‘সাধু ওয়াসওয়ানি মিশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই বৃদ্ধা পুনে এসেছিলেন। এদিন তিনি পুণে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তখনই ওই বৃদ্ধা বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন। ভিমন্তাল পুলিশ ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসি ৫০৫ এবং ১৮২ ধারায় মামলা রুজু করেছে।