‘‌আপনি এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন’‌, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে মমতার সাহায্য চাইলেন অধীর

এখন তো ইন্ডিয়া জোট হয়ে গিয়েছে। তাই আর পরস্পরের মধ্যে সমস্যা থাকার কথা নয়। রাহুল গান্ধীর সাফল্যে খুশি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। টুইট করছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তৃণমূল কংগ্রেস–সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে মণিপুর গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই দৃশ্য দেখেছে গোটা বাংলা–সহ ভারত। এবার এমন আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তাতে কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণ, অপহরণ নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

এই চিঠি নিয়ে শোরগোল পড়ার কারণ দুটি। এক, এখন ইন্ডিয়া জোটে আছে কংগ্রেস। বিজেপিকে হটাতে একমঞ্চে এসেছে সবপক্ষ। দুই, বাংলায় কংগ্রেস আবার জোটে রয়েছে সিপিএমের সঙ্গে। সেখানে অধীর চৌধুরীর এমন অভিযোগের চিঠি চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চিঠি থেকে স্পষ্ট সমস্যা এখনও রয়েছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি বিরোধী শক্তি এককাট্টা হয়েছে। দুই দফায় বৈঠকও হযে গিয়েছে। এমনকী ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় আসা দলগুলি এখন তৃতীয় দফার বৈঠকও করতে চলেছে বলে খবর। সেখানে অধীর চৌধুরীর এমন চিঠি মাঝপথে নানা প্রশ্ন তুলে দিল।

ঠিক কী লিখেছেন অধীর?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কথা তিনি চিঠিতে তুলে ধরেন। বোর্ড গঠনের আগে পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই চিঠিতেই। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখেন, ‘‌এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও বাংলায় আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জেতার পথ অবলম্বন করছে সেটা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত? খুনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। যখন বোর্ড গঠনের সময় আসছে তখন সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে। আপনি এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন।’‌ আসলে কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের চাপ দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অধীরের।

আরও পড়ুন:‌ ঝাড়গ্রাম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনিক বৈঠক–সহ থাকছে একাধিক কর্মসূচি

আর কী লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় থেকে নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের পরে বাংলায় সন্ত্রাস এবং রক্তক্ষয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে চিঠিতে লিখেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বহরমপুরের সাংসদ চিঠিতে লেখেন, ‘‌ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে, বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখানো এবং অপহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে আপনি হস্তক্ষেপ করুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থীরা জিতেছেন, তাঁদের তৃণমূলে টানতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। আপনি যাতে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়গুলি দেখেন তাই চিঠি লিখলাম।’‌