Dharmatala bus stand: ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড সরাতে ৯ বছর আগে জমি দিয়েছিল বন্দর, পড়ে থাকায় উঠল প্রশ্ন

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে বাঁচাতে পরিবেশ কর্মীদের করা মামলায় ১২ বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড না সরানোয় ফের কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর পক্ষে সম্মতি জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরই মধ্যে একটি বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে,ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরকরণের জন্য রাজ্য সরকারকে জমি দিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, জমি পেয়েও ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করার জন্য পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: ১২ বছর আগে সুপ্রিম নির্দেশ, এবার সাঁতরাগাছিতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানোর ভাবনা রাজ্যের

পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এই জমি দিয়েছিল নয় বছর আগে। ওল্ড গড়াগাছা রোডে প্রায় সাড়ে চার একর জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও বাসস্ট্যান্ড সরাতে আগ্রহী হয়নি রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মনোভাবকে দায়ী করেছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর ইচ্ছে নেই রাজ্য সরকারের। সেই কারণে টালবাহানা করছে। ধর্মতলায় বহুতল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে সেকথা জানানো হয়েছে। এর জন্য রাইটস নামে একটি সংস্থাকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পেলে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্য সরকার। তার ভিত্তিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে বাসস্ট্যান্ড নিয়ে কাজ কতটা এগোল, তা হাইকোর্টকে জানাবে রাজ্য সরকার।

মামলার সময় হাইকোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের সমস্যার বিষয়টি আলোচনা হয়। তখন আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি রয়েছে। সেখানে পার্কিং ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেই প্রসঙ্গে উঠে আসে নয় বছর আগে রাজ্যকে বন্দরের তরফে দেওয়া জমির প্রসঙ্গ। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৪ সালে ৩০ বছরের জন্য চুক্তিতে ওই জমি সরকারকে লিজ দিয়েছিল বন্দর। সেই সময় ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব।  তারপরে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর কাজ এগোয়নি। এক্ষেত্রে পরিবেশ কর্মীদের প্রশ্ন, জমি থাকা সত্ত্বেও কেন রাজ্য ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরাচ্ছে না? মামলার আবেদনকারীর অভিযোগ, বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া জমি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জমি থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার না করায় রাজ্যের সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে রাজ্যের বক্তব্য, সবকিছু খতিয়ে দেখে সমীক্ষা করা হচ্ছে।