প্রাথমিক শিক্ষকের ইন্টারভিউয়ার ক্লাস এইট পাশ!

বিদ্যে টেনেটুনে ‘এইট পাশ’। তিনিই নিয়েছেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ। পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতের নির্দেশ অনুসারে তদন্ত কমিটির কাছে জমা পড়েছে সেই নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের তালিকা। তাতে রয়েছে তমলুক পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর সৈয়দ আবেদ আলি শা-এর নাম। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘এইট পাশ’।

২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিকে ৩,৯২৪ জন শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনারের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে রয়েছেন, দফতরের যুগ্ম সচিব, সহ সচিব, অতিরিক্ত জেলাশাসক শিক্ষা ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক। সেই কমিটির সামনে ২০১২ সালের ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা ছিলেন তার তালিকা। সেই তালিকায় রয়েছে আবেদ আলি শায়ের নাম।

২০০৯ সালের প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয় বলে অভিযোগ। ইন্টারভিউ প্যানেলে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে অনেকের আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতির তদন্ত চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের থেকে হলফনামা তলব করেছে আদালত। তাঁর কোনও আত্মীয় ইন্টারভিউ প্যানেলে ছিলেন না বলে হলফনামা দিতে হবে জানিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে অনেকেই সেই হলফনামা দিতে চাইছেন না বলে খবর।

ওদিকে আবেদ আলি শা জানিয়েছেন, তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তবে মাধ্যমিক পাশ করা হয়নি তাঁর। সূত্রের খবর, জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইন্টারভিউ প্যানেলে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর।