গুজরাট নগরপালিকা উপনির্বাচন। রবিবার সেখানে ভোট হয়েছিল। মঙ্গলবার তার ফলাফল বের হয়েছে। সেখানে ৩০ টি আসনের মধ্য়ে ২১টি আসন পেয়েছে বিজেপি। একেবারে গেরুয়া শিবিরের জয়জয়কার। সব মিলিয়ে ২৯টি পুরসভা ও কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে একেবারে বিপুলভাবে এগিয়ে থাকল বিজেপি। কংগ্রেস মাত্র নটি আসনে জিতেছে। কার্যত মোদীর খাসতালুকে বড় জয় পেল বিজেপি।
সুরাট মিউনিসিপ্য়াল কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির রাজেশভাই রানা একেবারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি রজনী পটেল জানিয়েছেন, গুজরাটের মানুষ আবার বিজেপির প্রতি তাঁদের আস্থা রেখেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই বিপুল সমর্থন তাতে আরও সহায়তা করবে। বিজেপি এখন গুজরাটে নতুন উচ্চতায় গিয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই পটেলের প্রশাসনের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের পরিস্থিতি কার্যত শোচনীয়। আংশিকভাবে তিনটি আসনে তাদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।পাঁচটি লোকেশনে আপ নেতৃত্ব একই ধরনের সমস্য়ায় পড়েছেন। সুরাট, রাজপিপলা, গোধরা, পোরবন্দর, ধাংগাধারা সহ একাধিক জায়গায় বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি।
গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি শক্তি সিং গোহিল জানিয়েছেন, একটি আসনে অত্যন্ত কম মার্জিনে মাত্র দুটি ভোটে আমরা হেরেছি। আর অন্য একটি আসনে মাত্র চার ভোটে আসনটি বেহাত হয়ে গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একাধিক দলের কাছে এই ভোট ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে লোকসভা নির্বাচন সামনেই। সেক্ষেত্রে এবারের ভোট কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে অবশ্য নানা চর্চা রয়েছে। তবে অনেকের মতে, লোকসভা নির্বাচনের উপর সেভাবে প্রভাব ফেলবে না এই ভোটের ফলাফল। কারণ এটা একেবারে স্থানীয় স্তরের নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সেখানকার ভোট সেভাবে প্রভাব না ফেলতে পারে। তবে জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে গেরুয়া শিবির। এটা বলাই যায়। অন্যদিকে কংগ্রেস বহু আসনে জয় হাসিল করতে পারেনি। অনেকের মতে, মূলত শহরাঞ্চলের উন্নয়নের ফসল ঘরে তুলেছে গেরুয়া শিবির।