Imran Khan imprisonment: মাছি-পিঁপড়ের উপদ্রব, খাবারে শাক-ডাল, তবু বাকি জীবন জেলে কাটাতে তৈরি ইমরান

৯ বাই ১১ ফুটের নোংরা সেল। মাছি-পিঁপড়ের উপদ্রব। খোলা অপরিষ্কার বাথরুম। খাবারের মনুতে শাক-ভাত। তবু এর থেকে খারাপ জেলেও তাঁকে যদি সারাজীবন থাকতে হয়, তবু তিনি থাকবেন। তাঁর আইনজীবী নইম হায়দার পানজোথার কাছে এমনই মত প্রকাশ করেছেন পাকিস্থানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইমরান খান। 

সোমবার বিকেলে আইনজীবীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেন জেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় আড়াই ঘন্টা বৈঠকের পর জেল থেকে বেরিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘সি’ ক্যাটাগরির জেলে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। খুব ‘খারাপ অবস্থায়’ রয়েছেন তিনি। তবু মানসিক ভাবে যথেষ্ট চাঙ্গা ইমরান। 

(পড়তে পারেন। Imran Khan imprisonment: তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের ৩ বছরের জেল, ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত)

আইনজীবী পানজোথার কথায়, ‘খোলা বাথরুম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রবিবার রাতে তাঁর সেলে বৃষ্টির ছাঁট ঢুকেছে। টিভি দেখতে দেওয়া বা খবরের কাগজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। সকালে মাছি আর সন্ধ্যায় পিঁপড়ের উপদ্রব রয়েছে। তা সত্বেও খান সাহিব বেশ চাঙ্গা রয়েছেন।’ 

ইমরানকে বাড়ির খাবার দেওয়া হচ্ছে না। আইনজীবী পানজোথা জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ বন্দিদের খাবারই খাচ্ছেন। শাকের তরকারি ও ডাল। 

সোমবার জেলে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এটক থেকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করে তাঁর আইনজীবী। সেই আবেদন বলা হয়, ইমরান খানের সামাজিক, রাজনৈতিক মর্যাদা এবং শিক্ষগত যোগ্যতা দেখে তাঁকে অন্যত্র ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলে স্থানান্তর করা উচিত। 

ইমরানের সঙ্গে যাতে তাঁর লিগাল টিম, তাঁর স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক যাতে দেখা করতে পারেন তার জন্য আবেদন করেছেন আইনজীবী পানজোথা। 

গত শনিবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ (এজিএসজে) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড সাজা শোনায়। ওই দিন দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির পর আইনজীবী পানজোথার সঙ্গেই প্রথম দেখা করার সুযোগ পেলেন ইমরান। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী।