Pepperfry co-founder passes away: লাদাখে প্রয়াত পেপারফ্রাইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অম্বরীশ, ছিলেন IIM কলকাতার প্রাক্তনী

প্রয়াত পেপারফ্রাই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অম্বরীশ মূর্তি। হৃদরোগে আরান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন সংস্থার অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিস শাহ। জানা গিয়েছে, মৃত্যুকালে তিনি লেহ-তে ছিলেন। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আশিস জানান, গতরাতে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন অম্বরীশ মূর্তি। অম্বরীশকে নিজের ‘বন্ধু, দিকনির্দেশক, ভাই’ বলে আখ্যা দেন আশিস। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে অম্বরীশ এবং আশিস মিলে পেপারফ্রাই চালু করেছিলেন। আসবাব এবং ঘর সাজানোর জিনিসপত্র মেলে এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে। ভারতে আসবাব বিপণনে যুগান্তকারী বদল এনেছে পেপারফ্রাই। বর্তমানে দেশের ১০০টিরও বেশি শহরে উপস্থিতি আছে এই পেপারফ্রাই।

অম্বরীশের প্রয়াণে আশিস সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লেখেন, ‘আমার বন্ধু, পরামর্শদাতা, অম্বরীশ মূর্তি আর নেই। এতটা বিধ্বস্থ যে কথা বলা অবস্থায় আমি নেই। গতকাল রাতে লেহতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার ও পরিজনদের ঈশ্বর সাহায্য করুন। আমি সমবেদনা রইল।’ এদিকে ক্যাশকারোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্বাতী ভার্গবও শোক প্রকাশ করেন অম্বরীশের মৃত্যুতে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অম্বরীশ মূর্তির অকাল মৃত্যুর কথা শুনে আমি হতবাক। অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। অম্বরীশের মতো উদ্যোক্তা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর সেই চিন্তাভাবনাকে আগামী দিনে বহন করে চলুক পেপারফ্রাই।’

জানা গিয়েছে, অম্বরীশ ক্যাডবেরি সংস্থার সেলস বিভাগে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এরপর আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়ালের মার্কেটিং এবং কাস্টোমার সার্ভিস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। এছাড়া ইবে-র ভারত, ফিলিপিন্স এবং মালয়েশিয়ার ব্যবসার প্রধান ছিলেন। এছড়াও ফ্যাশন ব্র্যান্ড লেভি স্ট্রস ইন্ডিয়ার উচ্চ পদে ছিলেন। এদিকে ব্রিটানিয়াতেও মার্কেটিং ম্যানেজার পদে ছিলেন তিনি।

এরপর ২০১২ সালে আশিস শাহের সঙ্গে পেপারফ্রাই চালু করেছিলেন অম্বরীশ। ২০১২-তে মুম্বইতে হোম ডেকর সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এর আগে কয়েক দশক ধরে এফএমসিজি, আর্থিক সংস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন অম্বরীশ। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই পেপারফ্রাইকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অম্বরীশ। তিনি দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেন। এরপর আইআইএম কলকাতা থেকে এমবিএ ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি।