Refuge Island: সিগন্যালে পথচারীদের পারাপারের সময় কম, রিফিউজ আইল্যান্ড করে সমাধান খুঁজছে পুলিশ

রাস্তা পারাপারের জন্য ট্রাফিক সিগন্যালে সময় বাড়াতে হবে, পথচারীদের এই দাবি অনেক দিনে। সম্প্রতি বেহালায় খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের মৃত্যু সেই দাবি আবার জোরালো হয়েছে। পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তা পারাপারে জন্য কম সময় দেওয়ার ফলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে। তাঁদের একাংশ মনে করছেন, পারাপারের জন্য বেশি সময় দেওয়া হলে হয়তো বড়িশা স্কুলের পড়ুয়া সৌরনীলের মৃত্যু এড়ানো যেত।  তবে পুলিশের মতে পারাপারের জন্য জন্য সিগন্যালের সময়সীমা বাড়ানো যাবে না। তবে পথচারীদের জন্য রিফিউজ আইল্যান্ড তৈরি করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। 

কী এই রিফিউজ আইল্যান্ড? পারাপারে সময় সিগনাল পড়ে গেলে অনেক সময় পথচারীরা তাড়াহুড়ো করে পেরোতে যান। আর তখনই ঘটে বিপদ। তাই পারাপার করতে গিয়ে সিগানাল পড়ে গেলে পথাচারী রাস্তা উপর কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে দাঁড়াতে পারেন তার জন্য করা হয় এই রিফিউজ আইল্যান্ড।

খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুতে ডায়মন্ড হারবার রোডে আমূল বদল এসেছে ট্রাফিক নিরাপত্তার। দুর্ঘটনা রুখতে ক্রশিংগুলিতে অস্থায়ী বুম ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে। পারাপারের সময় বিপদ এড়াতে এবার স্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে এই রিফিউজ আইল্যান্ড করা হবে।

ডায়মন্ড হারবার রোডের এক ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, পথচারীদের জন্য সিগানালে ১০ সেকেন্ড সময় সীমা দেওয়া হয়ে থাকে। তা বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ, তাতে যানজট বাড়বে। সে কারণে রিফিউজ আইল্যান্ড তৈরি করা হবে। যাতে গাড়ি ছেড়ে দিলে পথচারীরা সেই আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে পড়তে পারবেন। তাতে দুর্ঘটনার বিপদও এড়ানো যাবে। 

তবে শুধু ডায়মন্ড হারবার রোড নয়, শহরের যে সমস্ত রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় সেই রাস্তাগুলিতেও এই রকম আইল্যান্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। কোন কোন রাস্তা এই ধরনের আইল্যান্ড তৈরির প্রয়োজন রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে চিঠি দিয়ে এই ধরনের জায়গা চিহ্নিত করে তার বিস্তারিত লালবাজারকে জানাতে বলা হয়েছে। 

বেহালার পর শহরের একাধিক ব্যস্ততম রাস্তায় বুম ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে বিটি রোডের উপর একাধিক ক্রশিংকে কেন্দ্র করে। যে সব ক্রশিংয়ের আশপাশে স্কুলগুলিতে সকালের স্কুল চলে সেগুলি ট্রাফিক পুলিশবিহীন অবস্থায় থাকে। শুধু কমলা আলো জ্বেলে রেখে দেওয়া হয় ক্রশিংগুলিতে। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয় পড়ুয়াদের। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ওই ক্রশিংগুলোতে।