Ex CJI Ranjan Gogoi: সংসদে বিতর্ক সৃষ্টি প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের, ‘প্রশ্ন’ তুললেন সংবিধানের মৌলিক কাঠামো নিয়ে

দিল্লি সার্ভিসেস বিল নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন গতকাল প্রথমবার রাজ্যসভায় ভাষণ রাখেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রাজ্যসভায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্কই হয়েছিল। এই আবহে গতকাল তিনি বক্তৃতা দিতে উঠতেই সংসদের উচ্চকক্ষ ছেড়ে চলে যান বেশ কয়েকজন মহিলা সংসদ। উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সুপ্রিম কোর্ট রঞ্জন গগৈকে নির্দোষ বলে আখ্যা দেয়। এদিকে দিল্লি সার্ভিসেস বিলের পক্ষে বলতে গিয়ে গতকাল আকারে ইঙ্গিতে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো নিয়েই ‘প্রশ্ন তোলেন’ ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল তোপ দেগেছেন।

গতকাল রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘আমার উপলব্ধি, বিধানসভাগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্য আইন তৈরি করে। সংসদ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য আইন তৈরি করে। সঙ্গে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির জন্যও আইন তৈরি করে। এখানে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে দিল্লি সার্ভিসেস বিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে কি না। আর আমি এখানে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো নিয়ে কিছু বলতে চাই। ভারতের প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল তেহমতান আর আন্ধ্যারুজিনার লেখা একটি বই আছে। সেই বই পড়ে আমার মত হচ্ছে, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর যে আইনশাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে রয়েছে, তা বিতর্কিত। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে চাই না।’

আর রঞ্জন গগৈয়ের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল। তিনি এক ‘এক্স’ (পূর্বতন টুইটার) বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি হতবাক যে একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটা কি বিজেপির কোনও চাল? চারা কি সংবিধানকে পুরোপুরি বদলে দিতে চাইছে? তারা কি মনে করে যে গণতন্ত্র, সাম্য, ধর্মনিরপেক্ষতা, ফেডারেলিজম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সবই বিতর্কিত ধারণা? অবশ্য এটা আমাকে অবাক করে না। তাদের কোনও দিনই সংবিধানের প্রতি কোনও সম্মান ছিল না। আর এখন ‘বিতর্কিত’ ট্র্যাক রেকর্ড থাকা এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে সংবিধানকেই আক্রমণ করাচ্ছে বিজেপি। এখানে রঞ্জন গগৈয়ের যুক্তি কী? তিনি কি বলছেন যে মৌলিক কাঠামো বলে কিছু নেই, আর তাই কোনও কিছুই রক্ষা করার প্রয়োজন নেই? সরকার কি তাঁর এই মতকে সমর্থন করে? সরকারের উচিত এই চিন্তাধারার বিরোধিতা করা। নয়ত বোঝা যাবে যে আমাদের সংবিধানকে নষ্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।’