‘‌জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া, আর এখানে বিজেন্ডিয়া’‌, সিপিএম–কংগ্রেসকে তোপ মমতার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, বুধবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চ থেকে সিপিএম–কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন। ঝাড়গ্রামের সভা মঞ্চ থেকে আবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দুই সঙ্গী সিপিএম এবং কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী স্পষ্টভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁদের লড়াই চলছেই। আর বাংলায় লড়াই হবে কংগ্রেস–সিপিএমের বিরুদ্ধেও। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের পাশে থাকলেও আঞ্চলিক স্তরে এক টেবিলে বসবে না। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর এমন সোচ্চার হওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে পাটনা, বেঙ্গালুরুতে বসেছিল ২৬টি বিরোধী দল। সেখানে হয়েছিল ম্যারাথন বৈঠক। সেখানেই ঠিক হয় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বিরোধীদের ‘‌ইন্ডিয়া’‌ জোট। সিপিএম, কংগ্রেস সেখানে উপস্থিত ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেছিলেন। আর তারপর থেকেই গোটা দেশে ইন্ডিয়া জোট আন্দোলনে নেমে পড়ে। সংসদের ভিতরে ও বাইরে একসঙ্গে সবাই আক্রমণ করতে শুরু করেছেন মণিপুরের ঘটনা নিয়ে। কিন্তু এই রাজ্যে বাম–কংগ্রেস গিয়ে বিজেপির সঙ্গে অশুভ আঁতাত করেছে বলে জগাই–মাধাই–গদাই বলেও কটাক্ষ করেন মমতা।

অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এই রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে বলে দাবি করেন। কিন্তু এই ইন্ডিয়া জোট হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বাকি দুই দলের প্রতি সৌজন্যই দেখিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সিপিএম–কংগ্রেস হাত মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে গিয়েছে। যার জবাব আজ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এখানে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে বিজেপি সঙ্গে হাত মেলাতেও পিছপা হচ্ছে না সিপিএম–কংগ্রেস। এই দৃশ্য দেখেই তোপ দেগেছেন তৃণমূলনেত্রী।

আরও পড়ুন:‌ কালো চশমা পরে জ্ঞান দিচ্ছেন, যাকে খুশি উপাচার্য বানাচ্ছেন-রাজ্যপালকে তোপ মমতার

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ আজ ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সিপিএম এবং কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করে বলেন, ‘‌বাংলায় বাম–বিজেপি–কংগ্রেস এখন জগাই–মাধাই–গদাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। একদিকে জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া গড়ে উঠেছে। আর এখানে বিজেন্ডিয়া। বিজেপির সঙ্গে ওরা বসে রয়েছে, একবার লজ্জাও করে না। মানুষের একটা নীতি থাকে। সেই নীতি মেনে চলতে হয়। যদিও এমন করতে থাকে তবে, বাংলায় আমরা সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ব। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই তো থাকবেই। বিজেপির কোলে বসে আছে। লজ্জা করে না।’‌