Quit India: ‘দুর্নীতি, পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো!’ কুইট ইন্ডিয়ার বার্ষিকীতেও বিরোধীদের তোপ মোদীর

মহাত্মা গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ভারত এখন একযোগে বলছে, দুর্নীতি, পরিবারবাদ আর তোষনবাদ তোমরা ভারত ছাড়ো। কার্যত বিরোধীদের নিশানা করে তোপ দাগলেন মোদী।

তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যে মহান মানুষরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ঔপনিবেশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য গান্ধীজির নেতৃত্বে এই আন্দোলন বড় ভূমিকা নিয়েছিল। তবে বর্তমানে ভারত এক সুরে একটাই আওয়াজ তুলছে। সেটা হল দুর্নীতি ভারত ছাড়ো,পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো,তোষনবাদ ভারত ছাড়ো।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মূলত বিরোধীদের নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়েছেন তিনি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারবারই পরিবারবাদের অভিযোগ। সেই সঙ্গে বর্তমানে তৃণমূলও সেই দোষে দুষ্ট।বাংলার রাজনীতিতেও পরিবারবাদ চলে এসেছে। অন্যদিকে মোদী দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনেছেন। মূলত বিরোধীদের নিশানা করেই তিনি এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গেই এসেছে তোষনের প্রসঙ্গ। আসলে গেরুয়া শিবির থেকে বার বারই অভিযোগ তোলা হয়, কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল মূলত তোষনবাদের উপর বিশ্বাসী। মূলত সংখ্যালঘুদের উন্নতির উপর সার্বিকভাবে নজর না দিয়ে তাদের তোষন করে ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করতে চায় বিরোধীরা।

সেই সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো টুইট করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, ৯ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ৯ অগস্ট গান্ধীজির নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন। ইংরেজদের তিনি বলে দিয়েছিলেন কুইট ইন্ডিয়া। কিছুদিন পরেই দেশজুড়ে চেতনার জাগরণ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এরপরই মোদী তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন. বাপুর আদর্শে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের স্বপ্ন ভারত নির্মাণ। এই সংকল্পের সামনে কিছু বাধা আসছে। আজ ভারত বলছে দুর্নীতি ভারত ছাড়ো। পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো। তোষনবাদ ভারত ছাড়ো। একেবারে সরাসরি তিনি কার্যত বিরোধীদের নিশানা করেই তোপ দাগেন।