Wrestler: স্বামী লাথি মেরে বের করে দিয়েছে, থানায় গেলেন ‘বেটি বাঁচাও’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মহিলা কুস্তিগীর

শ্রুতি তোমার

আন্তর্জাতিক মহিলা কুস্তিগীর ও বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রচারের ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডর রানি রানা। এবার তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার ও তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

গোয়ালিয়র জেলার  মুরার এলাকার বাসিন্দা রানি রানা। ২০১৯ সালে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি জাতীয় স্তরে সোনার পদক জিতেছিলেন। গত দুমাস ধরে তিনি স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে তিনি নানা নির্যাতন সহ্য করেছেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০টি মেডেল জিতেছিলেন তিনি। রাজ্য সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর তিনি। আর সেই মহিলা কুস্তিগীরই অভিযোগ করেছেন স্বামী তাঁকে নির্যাতন করেছেন। 

মঙ্গলবার পুলিশ প্রিন্স রানা নামে তাঁর স্বামী তথা জিম ইনস্ট্রাক্টর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। এবার তাঁদের বিবাহিত জীবনের পেছনের দিকটা একটু জেনে নেওয়া যাক। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করেন। স্বামীর এসইউভি গাড়ির জন্য় বাবা ৮ লাখ টাকা পণ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আমাকে স্বামী কুস্তির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয় না। মানসিক অত্যাচার করে। তবে আমি ওদের কথায় মন না দিয়ে মেয়েদের ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছি। 

৩০ মে বাড়ি ফেরার পরেই স্বামী টাকা চান। তখন তার সঙ্গে ঝগড়া হয়। তারপরই আমাকে লাথি মেরে বের করে দেয় স্বামী। আমি তখন ফোনে ছিলাম। মা সবটা শুনেছেন। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই বললেন আমি ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসডর এতে নাকি প্রভাব পড়বে। 

তাঁর অভিযোগ স্বামী লাগাতার ফোনে হেনস্থা করেন। সেকারণেই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেকে বাঁচাতে না পারলে কোনও নারীকেই বাঁচাতে পারব না। তবে প্রিন্স জানিয়েছেন, সব অভিযোগ মিথ্যে। সত্যিটা দ্রুত সামনে আসবে।