পছন্দের লোককে প্রধান করতে তৃণমূলি সদস্যদের অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে

পছন্দের ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত প্রধান করতে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলেরই বিধায়কের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। খণ্ডঘোষের শশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিধায়ক নবীন বাগের অনুগামীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরাই।

গত ৫ অগাস্ট খণ্ডঘোষের শশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্যসহ তাদের পরিবার পরিজন মিলে ৩১ জনের একটি দল সুন্দরবন বেড়াতে যায়। বুধবার তারা বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ ফেরার পথে সুন্দরবনের গদখালির কাছে লঞ্চ থেকে নেমে বাসে ওঠার পর একদল দুস্কৃতী তাঁদের বাসে হামলা চালায়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই হামলার সময় তৃণমূলের ৫ জন জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। মারধরের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও। মহিলা সদস্যাদের মারধর করা হয়। অপহৃত ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য হলেন সেখ নাজিরউদ্দিন, অনুজ মণ্ডল, অনুপ নায়েক, রাজীব মণ্ডল ও সাধন রায়।

খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল পাঁজা বলেন, তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। হামলাকারীরা সবাই বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের অনুগামী। তাদের মধ্যে খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেখ নাসপাতিও ছিলেন।

বুধবার শশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দেখা যায়, শশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে তালিকায় নাম আছে গোলক রায়ের। সে বিধায়কের অনুগামী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। তবে শেষ পর্যন্ত ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের চাপে পড়ে প্রধান হিসেবে নাম ওঠে রিম্পা সাহা প্রামাণিকের।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের নাম প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। বোর্ড গঠনের আগে যাতে কোন অশান্তি না হয় তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। অন্যদিকে তৃণমূলের ১০ জন জয়ী প্রার্থী এলাকায় একটি গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য ববিতা সরকার ও শ্রীকান্ত রায়ের অভিযোগ, তাঁদের মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে হামলাকারীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ। এই বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপার্থিব ইসলাম।