ভুটানের রাজার ‘‌দূত’‌ এবার এলেন কলকাতায়, ‌বুদ্ধবাবুকে দেখতে এতদূর সফর করলেন

অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর টানা ১২ দিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। জুলাই মাসের ২৯ তারিখ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এখন তিনি ছাড়া পেয়ে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে হোম কেয়ারে রয়েছেন। আর তাঁকেই খুঁজতে কলকাতায় এসে হাজির ভুটানের রাজার দূত। এমনটাও যে ঘটতে পারে সেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

এদিকে ১২ দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বুদ্ধবাবুকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি বাড়ি ফিরেছেন। আর এই বাড়ি ফেরার দিনেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পুষ্পস্তবক পাঠালেন ভুটানের রাজা। দূত মারফত তা পাঠিয়েছেন ভুটানের রাজা। ভুটানের প্রাক্তন কনসাল জেনারেল দাসু শ্রিং ওয়াংদা ভুটানের রাজার দূত। তিনি এদিন হাসপাতালে এসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আর ভুটানের রাজার বন্ধু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পুষ্পস্তবক দেন। এখানে দেখা করতে এসে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজার দূত।

অন্যদিকে এই ঘটনা দেখে আপ্লুত স্বয়ং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কারণ বুদ্ধবাবু যে সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভুটানের কনসাল জেনারেল ছিলেন দাসু শ্রিং ওয়াংদা। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটানের রাজার বন্ধুত্বের কথা তাঁরও জানা। ভুটানের রাজার সঙ্গে বুদ্ধবাবুর বন্ধুত্ব বহুদিনের। তাই আজ যখন রাজার বন্ধু অনুপস্থিত তখন তাঁর খবর নেওয়াটা জরুরি। দূত পাঠিয়ে তাই করা হয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন দাসু শ্রিং ওয়াংদা। কোনও দেশের রাজা যদি বন্ধু হয় তাহলে বোধহয় এমনই ঘটনা ঘটে। যা দেখলেন সবাই।

আরও পড়ুন:‌ আইন দফতরের সচিবকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

আর কী দেখলেন সবাই?‌ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের খবর নিলেন রাজার দূত। আর সেই খবর ভুটানে পৌঁছে দেবেন বলেও জানিয়ে গেলেন। করজোড়ে নমস্কার করলেন রাজার দূত। বুদ্ধবাবু ছাড়া পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন দেখে হেসে অভিনন্দন জানালেন। যদিও চিকিৎসক যাঁরা আছেন তাঁরা এখনও চিন্তায় রয়েছেন। বাড়িতে সব ঠিকঠাক থাকবে তো?‌ আসলে হাসপাতাল আর বাড়ি তো একরকম হয় না। এটাই চিন্তার কারণ। যদিও এখনও পর্যন্ত হোম কেয়ারের রিপোর্ট ভালই। সূত্রের খবর, চিকিৎসকরা এই চ্যালেঞ্জ নিলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় কোনও ফিস নেননি।