Adhir on ‘insulting’ PM Modi: ‘নীরব’ মোদী বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকে ‘অপমান’ করিনি, সাসপেন্ড হয়েও বললেন অধীর

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের আগে উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। মোদীকে বেনজির আক্রমণ শানান লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাতে তুমুল চটে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের আসন ছেড়ে উঠে অধীরকে পালটা আক্রমণ শানান। অধীরকে ক্ষমা চাইতে বলে দাবি করতে থাকেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেইসঙ্গে সংসদের নিয়মাবলী উল্লেখ করে লোকসভার কার্যবিবারণী থেকে অধীরের মন্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। যে দাবি মঞ্জুর করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বাদ দেওয়া হয় অধীরের ওই বিতর্কিত মন্তব্য। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। অধীরকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলে দাবি তুলতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। অধীর অবশ্য নিজেদের দাবিতে অনড় আছেন। তিনি দাবি করেছেন, তিনি মোদীকে ‘নীরব’ (চুপ করে থাকা) বলতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: PM Modi No Confidence Motion Speech Live Updates- হার জেনেও কেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব? ব্যাখ্যা অধীরের

ঘটনাটি কী হয়েছিল?

বিরোধীদের উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভাষণ দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকসভায় আসেন মোদী। সেইসময় সোনিয়া গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর। মোদী ঢুকতেই কিছুক্ষণের জন্য ভাষণ থামিয়ে দেন তিনি। ‘মোদী, মোদী’ স্লোগান তোলেন বিজেপি-সহ এনডিএ জোটের সাংসদরা। পালটা ‘ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী (INDIA) জোটের নেতারা। সেই স্লোগান যুদ্ধের মধ্যে নিজের আসনে বসে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Mahua Moitra: ‘সবজি হিন্দু আর ছাগল মুসলিম হয়ে গিয়েছে’, মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মহুয়ার

তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেনজির আক্রমণ শানান কংগ্রেস সাংসদ অধীর। মণিপুর বর্বরোচিত ঘটনার রেশ টেনে মোদীকে আক্রমণ করেন। তাতেই তুমুল চটে যান শাহ। নিজের আসন ছেড়ে উঠে পড়ে অধীরকে তুমুল কটাক্ষ করেন। সরব হন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীও। নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে পড়েন অধিকাংশ বিজেপি সাংসদ। যদিও মোদীর কাছে ক্ষমা চাননি অধীর। তাঁর মন্তব্য সংসদের কার্যবিররণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন লোকসভার স্পিকার।

অধীরের বক্তব্য

কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করিনি আমি। সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোদীজি। কিন্তু মণিপুর নিয়ে উনি নীরব বসেছিলেন। যেটার অর্থ হল যে উনি চুপ করে বসেছিলেন। নীরবের অর্থ হল চুপ করে বসে থাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না আমরা। কিন্তু ওঁনার পারিষদদের মনে হয়েছে যে (অপমান করেছি)। তাই আমার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছিলেন। আমি জানতে পারি যে বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে এবং আমায় সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।’