Maoist leader arrested: মাথার দাম ১ কোটি! গয়ায় পুলিশের জালে মাওবাদী শীর্ষনেতা

বড় সাফল্য পেল পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার বিহারের গয়া জেলার একটি গ্রাম থেকে সিপিআই (মাওবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য এবং মতাদর্শগত নেতা প্রমোদ মিশ্র ও তাঁর সঙ্গী অনিল যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গয়ার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ আশিস ভারতী মিশ্র এই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

(পড়তে পারেন। অসম রাইফেলসকে বদনাম করার অপপ্রচেষ্টা, মণিপুর পুলিশের FIR নিয়ে মুখ খুলল সেনা)

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, টিকারি ব্লকের জারহি টোলা গ্রামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রমোদ মিশ্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিশ্রর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর ডুমারিয়া গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। একই পরিবারের চারজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাওবাদীরা। মেরে তাঁদের গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসাবে এই হত্যা করা হয়। মাওবাদীদের বিশ্বাস ছিল ওই পরিবার তাদের চারজন গেরিলা সদস্যকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি সংঘর্ষের সময় তাঁদের মৃত্যু হয়।

বিহারের ঔরঙ্গাবাদেপ কাসমা গ্রামের বাসিন্দা, প্রমোদ মিশ্র ৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে মাওবাদীতে যোগদান করেন। তিনি মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (এমসিসি)-র একজন বিশিষ্ট নেতা হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সালে এমসিসি এবং পিডব্লিউজি (পিপলস ওয়ার গ্রুপ) মিলে তৈরি হয় হয় সিপিআই (মাওবাদী)। তিনি এই নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যান। পরে তিনি দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হন।

(পড়তে পারেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিতে সংসদে বিল পেশ কেন্দ্রের)

২০০৮ সালে তাঁকে বিহার এসটিএফ গ্রেফতার করে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি পান। নিজের গ্রামে কয়েক মাস থাকার পর তিনি রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন এবং মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ দেন।

তিনি সারান্দা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিলেন। বেশ কয়েকটি অপারশনের নেতৃত্বও দেন তিনি। ঝাড়খণ্ড সরকার তাঁর মাথার উপর এক কোটি টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে।