Nirmala Sitharaman: ‘একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে বিরোধীরা’, নির্মলার দাবি, ভারতের যা উন্নতি, ২০১৪ থেকেই

অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় আজ বলতে উঠে যেন বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশের অর্থনীতির বিষয়ে একাধিক তথ্য তুলে ধরেন। বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবেও আক্রমণ শানান নির্মলা সীতারামন। তিনি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে তুলনা টানেন। সংসদে আজ নির্মলা বলেন, ‘আজকে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি দু’টি সংকটের মুখোমুখি। এক হল মুদ্রাস্ফীতি এবং শ্লথ গতিতে অগ্রগতি। গত অর্থবর্ষে বৈশ্বিক অর্থনীতি বেড়েছিল মাত্র ৩ শতাংশ। আর চলতি অর্থবর্ষে সেই বৃদ্ধির হার ২ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। উন্নত দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি চরমে। ইউরো অঞ্চলেও পরিস্থিতি একই। জার্মানির অর্থনীতিও চ্যালেঞ্জের মুখে। সেদেশের অর্থনীতি ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা আইএমএফ-এর। চিনের মতো মজবুত অর্থনীতিতে গ্রাহক চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর তুলনায় ভারতের অর্থনীতিকে বুঝতে হবে।’

নির্মলা বলেন, ‘২০১৩ সালে মর্গ্যান স্ট্যানলি ভারতকে ‘ফ্র্যাজাইল’ রেটিং দিয়েছিল। ৯ বছরে সেই মর্গ্যান স্ট্যানলি ভারতের রেটিং আপগ্রেড করেছে। আমাদের সরকারের নীতির কারণে ভারতের অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিডের সংকটকে পার করেও আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি। জনধন যোজনা, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্প সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছে। এর আগে ৬ দশকে শুধু ‘গরিবি হাটাও’ স্লোগান শুনতাম। তবে তাতে কিছু হয়নি। কিন্তু মোদী সরকার এসে সব বদলে দিয়েছে। এই পরিবর্তন কীভাবে হল? আমাদের সরকার চালানোর পদ্ধতিতে বদল এসেছে। ইউপিএ জমানায় বলা হত বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে, জল আসবে, রাস্তা তৈরি হবে। আর আমাদের সময় এই সব ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। মানুষকে অপেক্ষা করতে হয় না। আপনারা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আমরা স্বপ্ন পূরণ করেছি। গত ৯ বছরে মূলধন ব্যয় ৩.৯২ লাখ কোটি থেকে বেড়ে ১০.৯ লাখ কোটি হয়েছে।’

ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানিয়ে নির্মলা বলেন, ‘এক দশক নষ্ট করেছে ইউপিএ। ইউপিএ মানেই দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র। ওরা নিজেরাই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস, সিপিএম লড়ছে। পঞ্জাবে আপ, কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে। দিল্লিতেও একে অপরের সঙ্গে লড়ছে আপ ও কংগ্রেস। কেরলে কংগ্রেস ও বামেরা লড়ছে। ত্রিপুরাতেও লড়ছে বাম ও কংগ্রেস। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিল্লি এসেছিলেন এখানকার মহল্লা ক্লিনিকগুলি দেখতে। তিনি এসে বললেন, এগুলির মধ্যে বিশেষ কিছু নেই এবং তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। এই হল তাদের লড়াইয়ের অন্যতম উদাহরণ।’