Rahul Gandhi’s Speech Expunged: ‘মণিপুরে ভারত মাতার মৃত্যু’ নিয়ে করা রাহুলের মন্তব্য মোছা হল সংসদের রেকর্ড থেকে

অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় দ্বিতীয় কথা বলতে উঠে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, রাহুলের বক্তব্য চলাকালীন অধিকাংশ সময়ই ক্যামেরা ছিল না তাঁর দিকে। এরপর আবার উড়ন্ত চুম্বন বিতর্কেও জড়ান রাহুল। এই সবের মাঝেই বুধবার রাতে জানা যায়, ‘মণিপুরে ভারত মাতার মৃত্যু’ নিয়ে যে মন্তব্য রাহুল গান্ধী করেছিলেন, তা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাহুল গতকাল বিজেপিকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই ‘দেশদ্রোহী’ শব্দটি মোছা হয়েছে সংসদীয় রেকর্ড থেকে। এদিকে তিনি বক্তব্যে ‘ভারত মাতা’ এবং ‘ভারত মাতার মৃত্যু’র উল্লেখ করেছিলেন। সেই সব অংশও মোছা হয়েছে। তাছাড়াও ‘প্রধানমন্ত্রী’, ‘হত্যা’র মতো শব্দ মুছে ফেলা হয়েছে রাহুলের বক্তব্য থেকে।

গতকাল অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে মণিপুর গিয়েছিলাম। আজও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে যাননি। মোদীর জন্য মণিপুর ভারত নয়। আমি মণিপুর বললাম ঠিকই। তবে সত্যি হল মণিপুর আর নেই। আপনারা মণিপুরকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। আমি মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলি। এই কাজ আজও পর্যন্ত করলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে এক মহিলা আমাকে জানান, তাঁর একমাত্র সন্তানকে তাঁর চোখের সামনে গুলি মারা হয়। তিনি পুরো রাত ছেলের লাশের কাছে শুয়ে ছিলাম। এরপর সকালে ভয় পেয়ে আমি সবকিছু ছাড়াই আমার ঘর ত্যাগ করেছিলাম। অন্য ক্যাম্পে অপর এক মহিলার থেকে জানতে চেয়েছিলাম যে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল।’

রাহুল গান্ধী আজ বলেন, ‘এরা মণিপুরে ভারতের হত্যা করেছে। ভারত একটা আওয়াজ। আমাদের দেশের মানুষের মনের আওয়াজকে মণিপুরে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরের লোকদের মেরে ভারতমাতাকে খুন করেছে। আপনারা দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নয়। ভারতীয় সেনা একদিনে মণিপুরকে শান্ত করতে পারে। তবে আপনারা তা করছেন না। মোদী ভারতের আওয়াজ শোনেন না। রাবণ দু’জনের কথা শুনত। মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণ। আর মোদী শোনেন অমিত শাহ ও আদানির আওয়াজ। লঙ্কা হনুমান জ্বালাননি। লঙ্কা পুড়েছিল রাবণের অহংকারে’