অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদের নিম্নকক্ষে আলোচনা চলার সময় রাহুল গান্ধী নাকি ট্রেজারি বেঞ্চের দিয়ে উড়ন্ত চুম্বনের অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। লোকসভার স্পিকারের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির মহিলা সাংসদরা। আর এবার সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিহারের কংগ্রেস বিধায়ক নীতু সিং। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাহুল গান্ধীর জন্য নারীদের অভাব নেই। যদি তাঁকে ফ্লাইং কিস দিতে হত তবে তিনি তা কোনও কম বয়সি নারীকে দিতেন। কেন তিনি এক বুড়িকে ফ্লাইং কিস দেবেন? এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি বিজেপি সাংসদদের দিকে ফ্লাইং কিসের অঙ্গভঙ্গি করেন। যা নিয়ে বেজায় চটে যান স্মৃতি ইরানি। স্মৃতি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার আগে বক্তব্য রেখেছিলেন, তিনি খুবই খারাপ ব্যবহার করে সংসদ ছেড়েছেন। একজন মহিলা সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি একটি ফ্লাইং কিসের ইঙ্গিত করেছেন। শুধুমাত্র একজন অসামাজিক পুরুষই এই কাজ করতে পারেন। এটি দর্শায় যে তিনি কোন সংস্কৃতি থেকে এসেছেন এবং তাঁর পরিবার ও দল মহিলাদের সম্পর্কে কী অনুভব করে। এর আগে কখনও এই ধরনের আচরণ দেখা যায়নি দেশের সংসদে।’
এদিকে রাহুলের ফ্লাইং কিসের ভিডিয়ো প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সংসদে নোংরামি করছেন রাহুল গান্ধী। লজ্জাজনক।’ বিজেপি সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ‘উনি ফ্লাইং কিস দিলেন। রাহুল গান্ধীর কী হয়েছে? সংসদে এতজন মহিলা সাংসদ আছেন। তাঁর কোনও নৈতিকতা নেই। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’ এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে ফ্লাইং কিস ছুঁড়েছেন। কারণ তাঁদেরকে তিনি ব্রাদার্স অ্যান্ড সিস্টার্স বলে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি নির্দিষ্ট কোনও সাংসদের দিকে তাকিয়ে কোনও অঙ্গভঙ্গি করেননি। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দিকে তাকিয়ে কিছুই করেননি।
এদিকে রাহুল গান্ধীর ‘ফ্লাইং কিস’ নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে ভাইরাল হয় বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর বক্তব্য। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, রাহুলকে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়তে দেখেননি হেমা। যা নিয়ে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, হেমা কিছু দেখেননি। অথচ স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।