খালি জমিতে ময়লা ফেললে কড়া দাওয়াই, মিউনিসিপ‌্যাল কোর্টে কেস ঠুকবে পুরসভা

শহরে ইদানিং একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। সেটা হল— কলকাতা পুরসভার ময়লার গাড়ি দেখেও তাতে আবর্জনা ফেলছেন না। বরং দেওয়াল ঘেরা খালি জমিতেই বাড়ির নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্লাস্টিক বেঁধে ওই সব আবর্জনা ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন অনেকে ওই জমিতে। শহরের একাধিক ওয়ার্ডের এমন ঘটনা নিয়ে নালিশ ঠুকেছেন বাসিন্দারা। আর তা শুনেই ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। টক টু মেয়র অনুষ্ঠানেও এমন সব অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। শহর যেখানে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন এমন অভিযোগ বিড়ম্বনা তৈরি করেছে।

এদিকে এখন নানা জায়গায় ডেঙ্গি হচ্ছে। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তাই শহরের প্রতিটি কোণায় সাফ–সুতরা রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সেখানে অন্যের জমিতে নিজের বাড়ির ময়লা ফেলার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর তাতে ডেঙ্গির মশা জন্ম নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া এখন বর্ষাকাল হওয়ায় জল জমতে শুরু করেছে নানা জায়গায়। এই সব জমিতে আবর্জনার প্যাকেট ফেলায় জল আটকে যাচ্ছে। তাতে মশার উপদ্রব হচ্ছে। তাছাড়া যে বিশ্রী গন্ধ বেরতে শুরু করেছে তাতে মানুষের টেকা দায়। এমন পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা পুরসভা মামলা ঠোকার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

বিষয়টি ঠিক কী হবে?‌ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এইসব বাড়ির আবর্জনা যাঁরা অন্য লোকের জমিতে ফেলছেন তাঁদের প্রথমে নোটিশ দেওয়া হবে। তারপরেও যদি কথা না শোনেন সংশ্লিষ্ট নাগরিকরা তাঁদের নামে মিউনিসিপ‌্যাল কোর্টে মামলা করার নিদান দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর ওই মামলায় অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমবার প্লাস্টিকের প‌্যাকেট ফেললে ২২১ টাকা জরিমানা। দ্বিতীয়বার আবর্জনা ফেললে ৩৩১ টাকা জরিমানা। আর তৃতীয়বার যদি একই কাজ করা হয় তাহলে ৪৪১ টাকা জরিমানা দিতে হবে অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন:‌ ফৌজদারি মামলায় জড়িতের পাসপোর্ট পেতে বাধা নয়, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

কোন ঘটনা ঘটেছে শহরে?‌ এদিন বেহালার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেয়রকে টক টু মেয়রে ফোন করেন এক মহিলা। তিনি পশ্চিম পুটিয়ারির ১৪/৩এ চান্দের ভিলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, ‘সরু গলির মধ্যে অনেকের বাড়ি। সেখানে ঢুকতে পারে না ময়লার গাড়ি। কিন্তু সেই সব বাড়ির বাসিন্দারা মেন রোডে গিয়ে ময়লা না ফেলে ছুড়ে দিচ্ছেন পাশের খালি জমিতে। তাতে যে গন্ধ বের হচ্ছে টেকা দায়।’ এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূরকে জানিয়েছেন তিনি। রত্না শূরের কথায়, ‘‌সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এমন অবস্থা ঠেকানো অসম্ভব।’‌ আর কঠিন বর্জ‌্য ব‌্যবস্থাপনা, স্বাস্থ‌্য দফতরের কর্মীদের দ্রুত ওই এলাকায় যেতে বলেছেন মেয়র।