Hate Speech: ঘৃণাসূচক বক্তব্য বন্ধে পুলিশকে সুপ্রিম নির্দেশ, তৈরি হবে নজরদারি কমিটি

গোটা দেশজুড়ে ঘৃণাসূচক বক্তব্য ঠেকাতে এবার কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে ঘৃণাসূচক বক্তব্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করুন।

সাংবাদিক শাহিন আবদুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন, যে ধরনের ঘৃণাসূচক বক্তব্য বলা হচ্ছে তা থেকে বিরত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হোক। হরিয়ানার সাম্প্রদায়িক হানাহানির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি জানিয়েছেন, সম্প্রদায়গুলির মধ্য়ে সম্প্রীতি বজায় রাখা দরকার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হেট স্পিচের যে সমস্যা সেটা একেবারেই ভালো নয়। কেউ এটাকে গ্রহণ করে না।

সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজকে জানিয়েছে, কমিটি তৈরি নিয়ে অগ্রগতি কতটা হল সেটা আগামী ১৮ অগস্টের মধ্য়ে আমাদের জানান।

সেই সঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী যেন সমস্ত সামগ্রী যেমন ভিডিয়ো সহ অন্যান্য উপাদানগুলি নোডাল অফিসারের কাছে জমা দেন।

পিটিশনে আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আমরা আশা করছি ও বিশ্বাস করছি রাজ্য সরকার ও পুলিশ কোনও রকম ঘৃণাসূচক বক্তব্য রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে। কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এটা বলা যাবে না। কোনওরকমভাবে হিংসা ছড়ানো বা সম্পত্তি হানি করা যাবে না।

বিচারপতি খান্না জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেবে যাতে একটা কমিটি তৈরি করা হয় । ঘৃণাসূচক মন্তব্য সংক্রান্ত যে অভিযোগ দেশের বিভিন্ন থানাতে আসবে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। খবর এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে।

এদিকে গত ৭ অগস্ট মাসে হরিয়ানার গুরুগ্রামে মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নুহ জেলাতে ছড়িয়ে পড়েছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা। তবে সবথেকে বড় কথা হিন্দু সমাজের সেই মহাপঞ্চায়েত আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক বা পুলিশের অনুমতি ছিল না বলে খবর। তবে হরিয়ানার সেই ভয়াবহ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্য়েই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টির তদন্ত করছে।