World folk music: শতাধিক যন্ত্রীর অর্কেস্ট্রা! পৃথিবীর নানা প্রান্তের লোকসঙ্গীত শুনবে কলকাতা

কলকাতায় এবার আয়োজিত হতে চলেছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের লোকসঙ্গীতের একটি সমৃদ্ধ সন্ধ্যা। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অগ্রগণ্য শিল্পী জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ এবং শ্রদ্ধেয় লোকসঙ্গীত শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর বিশ্ব লোকসঙ্গীত ও তাঁর ঔরসজাত সঙ্গীতের মেলবন্ধন হতে চলেছে একই মঞ্চে। আগামী ১২ অগস্ট মধুসূদন মঞ্চে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিকেল ৫ টায়।

(আরও পড়ুন: রাতের ম্যাচে মাত হবে সঙ্গিনী! হেঁশেলের এই উপকরণ শুধু দুটি করে খান রোজ)

এই অনুষ্ঠানে আদতে মেলবন্ধন হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের। প্রায় ১৩০ জন শিল্পীর সমন্বয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই বিশেষ অকেস্ট্রা। অকেস্ট্রার মুখ্য অংশে রয়েছে- কিং অফ দি অল ইন্সট্রুমেন্ট- ‘ভায়োলিন’। এর সঙ্গতে রয়েছে ভোকাল সিম্ফনি ও ছন্দকারদের বিশ্ব বাদ্যযন্ত্র। সোশ্যাল মিডিয়াতেও লাইভ টেলিকাস্ট দেখানো হবে অনুষ্ঠানের। প্রসঙ্গত, ভারতে এই প্রথমবার এক মঞ্চে ভারতায় মার্গ সঙ্গীত ও বিশ্ব লোকসঙ্গীতের মেলবন্ধন হতে চলেছে।

(আরও পড়ুন: পেটের ডানদিক টনটন করে মাঝে মাঝেই? কী কারণে হয় এমন ব্যথা)

আমাদের ভারতীয় সঙ্গীত ও তার সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক অতি প্রাচীনকাল থেকেই। এই সঙ্গীতই ছিল ভাব প্রকাশের মাধ্যম। আদিম যুগে যখন ভাষা আবিষ্কার হয়নি তখন থেকেই গোষ্ঠীবদ্ধ মানব সমাজে এই সঙ্গীত মনের ভাব রচনা করতো। বৈদিক যুগে বেদ মন্ত্র উচ্চারণে আর্চিক, গাথিক ও সামিগ স্বরে উদাত্ত ও অনুদাত্ত এবং স্বরিত স্বরের প্রয়োগে যে বেদ মন্ত্র সমস্বরে উচ্চারিত হত। তা-ই পরবর্তীকালে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ রাগিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে।

অমিতাভ ঘোষ এর কথায়- অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে Folkus। সমগ্র অনুষ্ঠানেই লোক সঙ্গীতের ছোঁয়া রয়েছে এবং এই আঙ্গিকের অনুষ্ঠান আগে কখনও হয়নি। তাই অনুষ্ঠানটি ঘিরে রয়েছে এক আলাদা উন্মাদনা। বিশ্বের নানা প্রান্তের লোকসঙ্গীত কীভাবে ভারতীয় পপুলার মিউজিককে প্রভাবিত করেছে, তা-ই মঞ্চে পরিবেশন করা হবে অর্কেস্ট্রার মাধ্যমে।