কেমন আছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু?‌ দুর্গাপুজোর পর শুরু হবে মেরামতির কাজ

দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুর মেরামতি শুরু হবে বলে খবর। কারণ সেতুর স্বাস্থ্য ভাল নয় বলে সূত্রের খবর। এই সেতুর বয়স হয়েছে ৩১ বছর। এটাই ভারতের প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কেবল স্টেইড সেতু। এই সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে কদিন আগে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তখনই ঠিক হয়, দুর্গাপুজোর পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেতুর মেরামত করা হবে। সেতুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এই বিষয়ে নবান্নের কর্তাদের মতে, এখনই প্যানিক করা ঠিক হবে না।

এদিকে এই সেতুর মেরামতির কাজ করতে গেলে ট্রাফিক ডাইভারসন নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ এই সেতু দিয়ে লক্ষাধিক গাড়ি রোজ যাতায়াত করে। তার মধ্যে হেভি ভেহিকেলসের সংখ্যা সব থেকে বেশি। আর এখান দিয়ে সরকারি–বেসরকারি বাসে করে প্রচুর মানুষ নিত্য যাতায়াত করেন। সেই সংখ্যাটাও কিছু কম নয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু মেরামতির কাজ শুরু হলে এই ট্রাফিককে কোন রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হবে সেটাই সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ। দুর্গাপুজোর পর মেরামতির কাজ শুরু হলে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে অফিসযাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে নবান্নে যে বৈঠক মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে হয় সেখানে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর সঙ্গে ছিলেন পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য এবং পূর্ত দফতরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা। তবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মেরামতি করতে বিদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের ডাকছে নবান্ন। দুর্গাপুজোর পর জার্মানি থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল কলকাতা আসবে বলে সূত্রের খবর। তাঁরাই সেতু মেরামতির কাজ করবে। ১৯৭২ সালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল। তবে ২০১৩ সালে রাজ্য সচিবালয় রাইটার্স বিল্ডিং থেকে সরিয়ে নবান্নে নিয়ে আসার পর আরও কদর বেড়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর।

আরও পড়ুন:‌ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকছে কলকাতা, কোন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুর নকশা করেছিল জার্মান কারিগরী সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। আর তাই জার্মান বিশেষজ্ঞদের এখানে আনা হচ্ছে সেতুর মেরামতির কাজ করার জন্য। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, কেবল মেরামতির জন্য জার্মানি থেকে সামগ্রী এখনই চলে এসেছে। প্রাথমিকভাবে এই সেতু মেরামতির জন্য খরচ হতে পারে ৫৫ কোটি টাকা। তবে সেই অঙ্ক আরও অনেকটা বাড়তেও পারে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ৮২৩ মিটার লম্বা। ২০২৩ সালেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রাস্তার সংস্কার করা হয়েছিল।