চিনি মজুত করে দাম বাড়াচ্ছে কিছু চিনিকল? কড়া পদক্ষেপে কেন্দ্র সরকার

বৃহস্পতিবার খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি চিনিকল মাসিক স্টক হোল্ডিং লিমিট অনুসরণ করছে না। তারা তাদের মাসিক কোটা থেকে বেশি বা উল্লেখযোগ্যভাবে কম পরিমাণে চিনি বিক্রি করছে। চিনিকলগুলির মাসিক স্টক লিমিটের সাথে বিক্রির পরিমানের অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়ায় অভ্যন্তরীণ চিনির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে আখ চাষিরাও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা।’

ভারত জুড়ে এক্স-মিল চিনির দাম বর্তমানে মার্চের তুলনায় ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত এক বছরে প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু দাম বর্তমানে এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাট এবং তামিলনাড়ুর মত আখ উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির বাণিজ্য মহল সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল ৩৫০০ টাকা থেকে ৩৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি।

(আরও পড়ুন: Rain Forecast during long weekend: লম্বা উইকেন্ডের মধ্যে ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টি! সোমবারও ভারী বর্ষণ, মঙ্গলবার কী হবে?) 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি চিনিকল সংশ্লিষ্ট মাসের জন্য বরাদ্দ হওয়া মাসিক কোটার অন্তত ৯০ শতাংশ বিক্রি করবে বলে আশা করছে সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনির দাম বাড়া ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসকল চিনিকল বিক্রেতা নির্ধারিত চিনি বিক্রি করতে পারেননা বা যারা অতিরিক্ত বিক্রি করে থাকেন, দুই ধরনের ব্যবসায়ীদেরই নিয়ন্ত্রণে আনবে এই নির্দেশ।

দিল্লি-ভিত্তিক এক চিনিবাজার-বিশ্লেষক বলেছেন, ‘মাসিক কোটার ৯০ শতাংশ বিক্রি বাধ্যতামূলক হওয়ায় কম বিক্রয়যুক্ত মিলগুলিকে এই নির্দেশ সাহায্য করবে। কারণ, অন্যান্য মিলগুলি তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য তাদের কোটার বাইরে বিক্রি করে, এর ফলেই কিছু মিলে সর্ব নিম্ন বিক্রি দেখা যায়।’

চাহিদা এবং সরবরাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার ২০১৮ সালে চিনিকলগুলিতে স্টক হোল্ডিং সীমা আরোপ করেছিল। প্রতিটি চিনিকলের জন্য মাসে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন টন মাসিক বিক্রয়ের কোটা বরাদ্দ করেছিল সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও একবার এই বরাদ্দ হওয়া পরিমান বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হল। বরাদ্দের নূন্যতম ৯০ শতাংশ বিক্রি করার নির্দেশ আসায় চিনির জোগান ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।