BJP leader death: ভাইরাল অন্তরঙ্গ ছবি, ‘আত্মহত্যা’ BJP নেত্রীর, নেতাকে বহিষ্কার গেরুয়া শিবিরের

বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দলের এক নেতাকে বহিষ্কার করল অসমের শাসক দল। রাজ্য বিজেপির সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যে সদস্যকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে, সেই সদস্যের সঙ্গে ওই নেত্রীর (৪৪) অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তার জেরেই ওই মহিলা নেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। অসম পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে, তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘুমের ওষুধের ওভারডোজ হয়ে অসম বিজেপির কিষান মোর্চার নেত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যিনি বিজেপির কিষান মোর্চার সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Mother tortured: অসমে মায়ের গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে অত্যাচার, লাঠি দিয়ে মারধর, আটক ছেলে

ওই বিজেপি নেত্রীর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও দাবি করেছেন যে তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আর ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছিলেন বিজেপির কিষান মোর্চার এক আমন্ত্রিত সদস্য। যে ব্যক্তির নামও প্রকাশ করেন তাঁরা। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলা নেত্রীর কয়েকজন সহকর্মী বলেন যে ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছিলেন। যা তাঁর আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।’ 

আরও পড়ুন: Murder in Assam: বৌ এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করে সন্তানকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করল যুবক

রাজ্য বিজেপির সূত্র উদ্ধৃত করে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগে বিজেপির কিষান মোর্চার কোষাধ্যক্ষ ছিলেন ওই নেত্রী। বিজেপির চেম্বার অফ কমার্সেরও সহ-সভাপতি ছিলেন। যিনি এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে নেতা তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে দাবি করেছে বিজেপির ওই সূত্র।

অসমের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রাগ নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় নাকি তৃতীয় পক্ষের যোগ মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে মূল অভিযুক্ত বিজেপি সদস্যের (যে সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে) সঙ্গে আরও কয়েকজনের আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। যাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই বহিষ্কৃত বিজেপি সদস্য নাকি চাকরি এবং বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি-কোটি টাকাও তুলেছিলেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি বা বরাত দিতে পারেননি ওই বহিষ্কৃত বিজেপি সদস্য। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হতে থাকে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর ফোন এবং ঘড়ি। যে ফোনে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছিল। তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রীর ছবি ভাইরাল হয়ে দেয় বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।