যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগতরা পাচ্ছেন পৃথক হস্টেল, তদন্তের মধ্যেই সিদ্ধান্ত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখন জোরদার তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি ঠিক করেছে, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ পৃথক হস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিউ ব্লক হস্টেলকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই হস্টেলে সিসিটিভি লাগানো নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যতগুলি হস্টেল আছে সেসব জায়গা থেকে প্রাক্তনীদের বেরিয়ে যেতে হবে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে বসে অধ্যাপক সমিতি জুটা। সেখানে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌ছাত্রদের জন্য পৃথক হস্টেল এবং প্রত্যেক ব্লকে ওয়ার্ডেন দিতে হবে। হস্টেলে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসাতে হবে। আমরা সার্ভেলেন্স চাই না। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে সিসিটিভি লাগানো যেতেই পারে।’‌ এই একই দাবি তুলেছে ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। তারা ১৬ অগস্ট যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধরনায় বসবে বলে খবর।

অন্যদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ৬জন পড়ুয়াকে তলব করেছে যাদবপুর থানা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বলেন, ‘‌আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই মঙ্গলবারই মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলাম। তাই আমার ফোন বন্ধ ছিল। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। কোনও মায়ের কোল খালি হোক সেটা চাই না।’‌ এখানে ঘটনাটি নিয়ে পুনর্নিমাণ হয়েছে। তা দেখেছে পুলিশ অফিসাররা। তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রস্তাব তারা শুনছে না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:‌ কলকাতা বইমেলা এগিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে, এবার মিলবে বাড়তি ছুটির দিন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে র‌্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশ অমান্য করার কারণ দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করা হয়েছে। বিবৃতি জারি করেছে কমিশন। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট র‌্যাগিং সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তা মানেনি। ইউজিসির নির্দেশিকাও মানা হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধে র‌্যাগিং চলেছে। কেন নিয়ম মানা হল না? দু’‌দিনের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামীকাল বুধবার তাঁদের প্রতিনিধিদল আসছে বলে সূত্রের খবর।