যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস, থাকছেন তিনজন মন্ত্রী

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলেছেন। রাজ্যপাল তৎপর হয়েছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার নিজে তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস টুইটারে সে কথা পোস্ট করেছে। দলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল আগামীকাল বুধবার নিহত ছাত্রের বাড়িতে তাঁর মা–বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। আবার বুধবারই এই ঘটনার প্রতিবাদে ধরনায় বসবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

ঠিক কী লেখা হয়েছে টুইটে?‌ আজ স্বাধীনতা দিবস। এই দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‌যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উজ্জ্বল প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু আমাদের মর্মাহত করেছে। এমনকী ক্ষুব্ধও করেছে। তাই আগামীকাল আমাদের দলের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ শোকাহত পরিবারের কাছে যাবেন। এই মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’‌

আর কী জানানো হয়েছে?‌ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে মার্কসবাদীরা জড়িত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে টুইটে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘‌ঐক্যে, দুঃখে এবং অটল সংকল্পে আমরা বলি— আর র‍্যাগিং নয়। আর কোনও কষ্ট নয়।’‌ আর মৃত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে কথা বলার পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ওই ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। পরিবারের দাবি, তাঁর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। মারধর করা হয়েছিল। শারীরিকভাবে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌রাজ্য পার্টি কেমন চলছে দেখা আমার কাজ নয়’, অভিমানের সুর দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে

ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তারা সব মার্কসবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস। ওখানে কিছু সিপিএম আছে। তারা ছেলেটার জামাকাপড় পর্যন্ত খুলে নিয়েছিল। ওখানে পুলিশকে ঢুকতে দেয়নি। ওরা সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। র‌্যাগিং করে। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। অনেক জায়গায় গেলেও আমি যাদবপুরে যেতে চাই না।’