Narendra Modi on Manipur: লালকেল্লা থেকে মণিপুর হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন মোদী, স্বাধীনতা দিবসে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী জোটের দলগুলি। সেই অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে প্রায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। দবে ভাষণের প্রথম দেড় ঘণ্টায় একবারও মণিপুরের উল্লেখ করেননি মোদী। পরে মণিপুর ইস্যুতে ১০ মিনিটের মতো কথা বলেছিলেন মোদী। অবশ্য স্বাধীনতা দিবসে নিজের ভাষণের শুরুতেই মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেন মোদী। আজ নিজের ভাষণ প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে বলেন, ‘দেশের উত্তরপূর্ব, বিশেষ করে মণিপুরে বিগত কয়েক দিন ধরে হিংসা হয়েছে। সেখানে মা-বোনদের সম্মানহানী ঘটেছে। তবে কয়েকদিন ধরে সেখানে শান্তি ফিরেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং সেখানকার সমস্যা মেটাতে একসঙ্গে কাজ করবে। দেশবাসী মণিপুরের পাশে রয়েছে। শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই আবহে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে। এরই মাঝে গত জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল মণিপুর বিভীষিকার এক অকল্পনীয় ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছিল, দুই মহিলাকে নগ্ন করিয়ে ঘোরানো হচ্ছে রাস্তায়। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ মে। ঘটনার ৭৭ দিন পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। আর সেই একই দিনে, অর্থাৎ, ৪ মে মণিপুরের রাজধানীতে দুই যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মামলায় প্রায় ৮০ দিন পরে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকজন অভিযুক্তকে।

প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় কুকি-জো আদিবাসীরা। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও। আর এখনও পর্যন্ত সেই হিংসা প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ।