পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘জঙ্গিরা যেখানেই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আমরা তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকি। তাদের সংগঠিত হওয়ার খবর আমরা পেয়ে যাই। যত দুর্গম অঞ্চলেই তারা অবস্থান করুক, সেই তথ্য পেয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করছি।’ জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার যেকোনও চেষ্টা পুলিশ রুখে দিতে সক্ষম বলেও মনে করেন আইজিপি।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি জঙ্গিরা যখনই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গিদের নিয়ে আমাদের যেসব সংস্থা কাজ করে, তারা কিন্তু সক্রিয় আছে। যখনই তারা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিন্তু তাদের নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। এবারও এমনটা হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই। আমাদের সক্ষমতা আছে, আমাদের সামর্থ্য আছে। জঙ্গিরা যেখানেই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করবে আমরা সাথে সাথেই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকি, তাদের সংঘটিত হওয়ার খবর আমরা পেয়ে যাই। যত দুর্গম অঞ্চলেই তারা করুক সেই তথ্য পেয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করছি। তাদের সংগঠিত হওয়ার যেকোনও চেষ্টা আমরা রুখে দিতে সক্ষম বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী মারা যাওয়ার পরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন সেদিন রাতে যেই অবস্থা হয়েছিল তারা প্রথম বলেছিলেন, একটা জানাজা করতে চান। ডিএমপি কমিশনার এর আগে তাদের বলেছেন, জানাজা করে তাদের রাতে চলে যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করবেন। একটা জানাজা করার জন্য তাদের সময়ও দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই জানাযা করেননি। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সকল সদস্য আমরা আমাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ আছে। আমরা আমাদের যত ধরনের প্রস্তুতি আছে, জনবল আছে এবং সরঞ্জাম আছে তা দিয়ে এই ধরনের যেকোনও আইন-শৃঙ্খলাজনিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং যারাই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের কোনও কথা নেই। আমাদের কথা হচ্ছে যখনই নাশকতা হবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে সেটার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
সাঈদীর চিকিৎসকের নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি (চিকিৎসক) ধানমন্ডি থানায় একটা জিডি করেছেন, এই তথ্য পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি। তার সঙ্গে আমরা কথা বলে হুমকিদাদাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করবো। তাকে চিহ্নিত করে আইনগতভাবে যে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’