সূর্যের চেয়ে বড় তরঙ্গ আছড়ে পড়ছে মহাকাশের হার্টব্রেক নক্ষত্রের ওপর

সূর্যের চেয়েও বড় আকারের তরঙ্গ আছড়ে পড়ল ‘হার্টব্রেক’ নক্ষত্রের উপর। নক্ষত্রটির নাম MACHO 80.7443.1718, এটা পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। বড় ম্যাগেলানিক ক্লাউডের ক্যামেরার ধরা পড়ে সেই চিত্র। ম্যাগেলানিক ক্লাউড একটি উপগ্রহ, যা মিল্কিওয়ের চারপাশে ভেসে বেড়ায়। এখনও পর্যন্ত এটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ‘হার্টবিট স্টার’। ‘হার্টবিট’ নামটি এসেছে নক্ষত্রের আলোর বক্ররেখার সাদৃশ্য থেকে। হৃদস্পন্দন নক্ষত্রগুলি হল ঘনিষ্ঠ জোড়ায় বস্তু, যা পর্যায়ক্রমে উজ্জ্বলতায় স্পন্দিত হয়, যেমন একটি ইসিজি মেশিনে স্পন্দিত হৃৎপিণ্ডের ছন্দ মাপা হয়।

(আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের জালে ৯, ‘দাদা’দের নাম পরিচয়টা জেনে রাখুন)  

সাধারণ বিজ্ঞানেই সূত্র অনুসারেই আমরা জানি, দুটি নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ একে অপরকে টানে।, এর সঙ্গে সঙ্গে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, যা তারার আকারকে প্রসারিত করে এবং বিকৃত করে। এর ফলেই তারাগুলি পর্যায়ক্রমে উজ্জ্বল এবং ম্লান হয়। MACHO 80.7443.1718 নক্ষত্রটি অন্যান্য হৃদস্পন্দন নক্ষত্রের তুলনায় প্রায় ২০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল। এই ব্যতিক্রমী চরিত্রের কারণে এটি ‘হার্টব্রেক’ তারকা নামে খ্যাত হয়। একটি নতুন সমীক্ষা বলছে, এই সিস্টেমটির উজ্জ্বলতার ওঠানামার কারণ বিশাল তরঙ্গগুলির হ্রাস বৃদ্ধি।

(আরও পড়ুন: JU student death: স্বপ্নদীপকে নিয়ে ‘তথ্য লুকোচ্ছে’ JU-র পড়ুয়ারা! পুলিশি হেফাজত সৌরভের) 

যখন সিস্টেমের অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকৃতির তারা বড় তারার কাছাকাছি আসে, তখন ছোট তারাটির পৃষ্ঠের ওপর টান সৃষ্টি হয় এবং এটি স্ফীত আকার ও উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করে। ছোট তারাটি দূরে সরে যাওয়ার সাথে সাথে স্ফীতিটি প্রসারিত হয় এবং একটা সময়ের পরে ভেঙে গিয়ে একটি তরঙ্গ তৈরি করে।

সমীক্ষা অনুসারে, এই জোয়ারের তরঙ্গগুলি অত্যন্ত বেশি উচ্চতাযুক্ত এবং উচ্চ গতিযুক্ত। ফলে যখন তারা সমুদ্রের তরঙ্গের মতো দৈত্যাকার নক্ষত্রের পৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে, তখন প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। জ্যোতির্বিদ্যার গবেষণার সাথে যুক্ত লেখক ডঃ মরগান ম্যাকলিওড এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘নক্ষত্রের বিশাল জোয়ারের তরঙ্গ আমাদের সমগ্র গ্রহকে কয়েকশত বার বিচ্ছিন্ন করার জন্য যথেষ্ট।’ ফলে এই দৈত্যাকার তারা ও বিপুল শক্তির উপস্থিতি মহাকাশ চর্চার নতুন দিক খুলে দেবে বলে মনে করছে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।