Shehla Rashid on Kashmir: কাশ্মীরে মানবাধিকার আগের থেকে অনেক ভালো, মোদীর প্রশংসায় শেহলা রশিদ, দেখালেন জঙ্গির দাদার Video

মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে  কাশ্মীরের পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা উন্নত হয়েছে। অনেক জীবন রক্ষা পাচ্ছে বর্তমানে। আর সেই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেনান্ট গভর্নরকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী শেহলা রশিদ।

শেহলা রশিদ আসলে আইএএস আধিকারিক। কাশ্মীরের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি আন্দোলন করেছেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে তিনি একটা সময় আদালতে আপিল করেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি সেখান থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এবার সেই শেহলা রশিদ কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেন। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এটা স্বীকার করতে অসুবিধা হলেও এটা বলতেই হবে যে নরেন্দ্র মোদী ও বর্তমান লেফটেনান্ট গভর্নরের শাসনে কাশ্মীরে মানবাধিকার আগে থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে সরকারের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির জেরে সার্বিকভাবে প্রচুর জীবন রক্ষ পাচ্ছে। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি।

 

সেই সঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে রইস মাট্টু জানিয়েছিলেন, আমি অন্তর থেকে তেরঙা পতাকা উড়িয়েছি। কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। সারে জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হমারা। প্রসঙ্গর রইস হলেন হিজবুল জঙ্গি জাভেদ মাট্টুর দাদা। সিকিউরিটি এজেন্সি ওই জঙ্গিকে খুঁজছে। আর তার দাদাই ভারতের জাতীয় পতাকাকে নিজের করে নিয়েছেন।

সম্প্রতি রইসের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানে দেখা যায় ১৪ অগস্ট রইস তার বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছে। এই ভিডিয়ো কার্যত ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এরপর এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি।

তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন, এই প্রথম ১৪ অগস্ট আমি আমার দোকানে বসে রয়েছি। মাঝেমধ্যেই এটা ২-৩দিন ধরে বন্ধ থাকত। আগের যে রাজনৈতিক দল ছিল তারা শুধু নানা ধরনের খেলা খেলত।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আমার ভাই ২০০৯ সালে ওই ধরনের ছিল। ( জঙ্গি)। কিন্তু সে কোথায় আছে সেটা আমরা জানি না। যদি সে বেঁচে থাকে তবে অনুরোধ করব সে যেন ফিরে আসে। এখন পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। পাকিস্তান কিচ্ছু করতে পারবে না। আমরা হিন্দুস্তানি ছিলাম, আমরা হিন্দুস্তানি আছি, আমরা হিন্দুস্তানি থাকব।

সেই ভিডিয়ো তুলে ধরেছেন আইএএস আধিকারিক। সেটা দেখিয়ে বদলে যাওয়া কাশ্মীরের কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই কাশ্মীরের এই বদলের পেছনে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবদান রয়েছে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।