‘তোলাবাজি চলবে না!’ সরকারি মঞ্চ থেকে ওসির হুঁশিয়ারি, পাশে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী

তৃণমূল বিধায়ককে পাশে বসিয়ে একটি অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতাদের মতো কাউন্সিলারদের নির্দেশ-হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল খড়দা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজকুমার সরকারের বিরুদ্ধে। খেলা হবে দিবসের অনুষ্ঠানে ওই পুলিশ আধিকারিক আমন্ত্রিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তৃণমূল কাউন্সিলারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তোলাবাজি থেকে বিরত থাকার কথা বলেন। তবে সেখানেই শেষ নয়, কাউন্সিলারদের আচারণ কেমন হবে, কেউ কাজ না করলে কী করতে হবে সবটাই বুঝিয়ে দিলেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময় মঞ্চে বসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। কী ভাবে একজন পুলিশ কর্মী মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই ধরনের বক্তব্য রাখতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

খড়দা থানা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তৃণমূল নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন,’আমি বারবার বলছি সামাজিক কাজ করুন। সামনে পুজো আসছে। আমরা সরকারের মুখ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মানুষের কাজ করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে কাজ করুন। অসামাজিক কাজ করবেন না। তোলাবাজি করবেন না।’

এর পর তাঁর পরামর্শ, ‘আপনাদের নিরাপত্তা যদি আমি না দিতে পারি তবে ওই জায়গায় আমার থাকার কোনও যোগ্যতা নেই। যে কোনও সমস্যা সোজাসুজি বিধায়ককে জানাবেন। যে লোকটা কাজ করে না, তার কথা জানিয়ে সোজা বলে দেবেন, একে রাখবেন না।’

একজন সরকারি কর্মীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই ধরনের বক্তব্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা কিশোর কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে খোঁজ নিতে হবে উনি সরকারি কর্মী নাকি তৃণমূল নেতা। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ দিল পুলিশ আর পুলিশ নেই উর্দি পরা তৃণমূলের দাস হয়ে গিয়েছে। পুলিশ আধিকারিক যে ভাবে বক্তব্য রখেছেন তাতে স্পষ্ট, তৃণমূলকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ‘

খড়দা শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিন আগে তোলাবাজি নিয়ে একটি অশান্তি হয়। সে কারণে উনি হয়তো বলে থাকবেন। কিন্তু আইসি তা নিয়ে বার্তা দিতে যেভাবে রাজনৈতিক মঞ্চ ব্যবহার করেছেন, সেটা ঠিক নয়। উনি গুলিয়ে ফেলেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’