Abdul Karim Chowdhury: পঞ্চায়েত ক্ষোভ এখনও মেটেনি!ফের বিধানসভার অধিবেশন এড়াতে পারেন আব্দুল করিম চৌধুরী

বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রথমার্ধে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আগামী ২২ অগস্ট থেকে বাদল অধিবেশনেক দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হচ্ছে। সেই অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকতে পারেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তেমনটাই জানা যাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্টসূত্রে।

পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মন কষাকষির শুরু দলের সঙ্গে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিধায়কের মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে একতরফা ভাবে প্রার্থী বাছাই করেছিল দল। এমন কী নিজের বিধানসভা এলাকাতেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর মতামত নেওয়া হয়নি। তাই কিছুটা ক্ষোভ দেখিয়ে নিজের অনুগামীদের নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেন। যা নিয়ে দলের ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটে কিছু আসনের জেতে তাঁর মনোনীত প্রার্থী। তবে সেই ক্ষোভ যে প্রশমিত হয়নি তা বিধানসভার অধিবেশনে না যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।

আসন্ন বাদল অধিবেশনে না যাওয়া নিয়ে সাংবাদমাধ্যমকে তাঁর ছেলে মেহতাব চৌধুরী বলেন, ‘ জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতারা বাবার মতকে গুরুত্ব না দিয়ে, নিজেদের মতো প্রার্থী দেয়। তিনি তা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। সেই মানসিক যন্ত্রনা থেকে তিনি বাদল অধিবেশনে যাননি। আগামী দিনেও যাবেন কিনা তা বলা মুশকিল।’

কোনও নির্দিষ্ট নেতার নাম না বললেও জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতা বলতে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং মন্ত্রী গোলাম রব্বানির কথাই বলতে চেয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে মূলত বিরোধ ইসলামপুরের বিধায়কের। তেমনটাই মত জেলা তৃণমূলের একংশের। সে কারণেই তার নির্দল প্রার্থী দেওয়া এবং বিধানসভা অধিবেশনে না যাওয়া।

তবে একে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের শৃঙ্খলার পাঠ দিতে তৈরি হয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে করতে নারাজ। করিম যে দল বিরোধী কাজ করেছেন তেমনটাও মনে করছেন না শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা। এর আগেও একাধিকবার বিদ্রোহ করেছে ১১বারের বিধায়ক করিম। তাই এবারও একে গুরুত্ব দিতে চায় না তৃণমূল।

তবে কমিটি তাঁর উপর নজর রাখছে। তিনি যদি আবার বিধানসভার অধিবেশনে কোনও কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত থাকেন তবে তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তুা করা হবে বলে জানিয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এক সদস্য।