Jadavpur Clash: যাদবপুরে মারপিটে নামল বাম-বিজেপি,শুভেন্দুকে কালো পতাকা, ঝড়ল রক্ত

ছাত্র মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই এনিয়ে নানা চাপানউতোর। তবে মৃত পড়ুয়ার বাবা সংবাদ মাধ্য়মের সামনে আবেদন করেছিলেন, ছাত্র সমাজ যে আন্দোলনে নেমেছে তা স্বাভাবিক। কিন্তু আন্দোলনের নামে মারপিট করবেন না। ক্লাস যাতে হয় সেটা যেন দেখবেন। পড়াশোনার ক্ষতি হোক এটা চাই না।

কিন্তু কে মানছে সেকথা। যাদবপুর কাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্য়ে মারপিট বৃহস্পতিবার চরমে পৌঁছয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুরে গিয়ে একেবারে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী, দেশ বিরোধী, সমস্ত রকম অন্যায়ের আতুরঘরে পরিণত হয়েছে যাদবপুর। বাম, অতিবামরা সক্রিয়। মুক্তচিন্তার নাম করে নানা কাজ হয়েছে। এটা আসলে একটা মানসিক বিকার বলে আমরা মনে করি।

তারপর শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই শুরু হয়ে গেল বাম-বিজেপি মারপিট। বিজেপির অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। শুভেন্দু অধিকারী দূর হটো বলে, শুভেন্দু অধিকারী ধিক্কার বলে স্লোগান দিতে শুরু করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এরপরই উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।

তবে বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি, এলাকায় অশান্তির প্ররোচনা ছড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে বামেদের রীতিমতো মারপিট শুরু হয়ে যায়। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। হেলমেট দিয়ে মাথায় মারা হয়। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে।

এদিন মূলত বাম প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন আরএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপির নেতা কর্মীদের চরম মারপিট শুরু হয়ে যায় একেবারে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তুমুল মারপিট শুরু হয়ে যায়।

বাম প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীরা আমাদের মারধর করেছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা কর্মীদের দাবি, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা এলাকায় গণ্ডগোল পাকাচ্ছিল।