Jadavpur Student death: যাদবপুরে মাদক খেলেই ধরবে বিশ্ববিদ্যালয়, হুঁশ ফিরল এতদিনে, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

ছাত্র মৃত্যু। গোটা রাজ্য তোলপাড়। রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। দায় কার তানিয়ে নানা প্রশ্ন। তবে শেষ পর্যন্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সকলের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদনও করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। কিন্তু এখনও কেন সিসি ক্যামেরা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবেশের গেটগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বাকি সিসি ক্যামেরা নিয়ে এখনই কোনও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়া, মদ্যপান করা বা বেআইনী কার্যকলাপের সময় কেউ ধরা পড়লে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অনেকের মতে, যাদবপুর ক্যাম্পাস মাদকের মুক্তাঞ্চল বলেও পরিচিত। এবার মাদকের বিরুদ্ধে কড়া হওয়ার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনেকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিনিয়রদের দাপটে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে মাদক আটকাতে ঠিক কারা ব্যবস্থা নেবেন সেটা ঠিক পরিষ্কার নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্য়াম্পাসে প্রবেশের জন্য উপযুক্ত প্রবেশপত্র দেখাতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই যার সঙ্গে তিনি দেখা করতে যাচ্ছেন তার নাম পরিচয় , ফোন নম্বর লিখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গাড়িগুলি প্রবেশ করবে সেখানে নির্দিষ্ট স্টিকার থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার না থাকলে সেই গাড়িতে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। আর স্টিকার ছাড়া কোনও গাড়ি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চায় তবে গেটে সেই গাড়ির নম্বর, কেন সেটা ভেতরে যেতে চাইছে সবটা উল্লেখ করতে হবে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই যে এত নির্দেশিকা সেটা কি আদৌ মানা হবে? তবে কি এতদিন কোনও নির্দেশিকাই ছিল না? তাহলে কীভাবে চলত একটা বিশ্ববিদ্যালয়? আক্ষরিত অর্থেই মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়?