Mobile sim and cyber fraud: পুলিশ ভেরিফিকেশন না করলেই ১০ লাখ টাকার ফাইন, সিম ডিলারদের টাইট দিল কেন্দ্র

এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে মোবাইলের সিমকার্ড ডিলারদের পুলিশি ভেরিফিকেশনের মুখে পড়তে হবে। অর্থাৎ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে যেমন পুলিশি যাচাই-পর্ব আছে, সেরকমই নিয়ম চালু হচ্ছে সিমকার্ড ডিলারদের ক্ষেত্রে। এমনই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এতদিন যে ‘বাল্ক কানেকশন’ নেওয়ার সুবিধা ছিল, জালিয়াতি রুখতে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা সিম নিচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের ‘কেওয়াইসি’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষ্ণব। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গত মে থেকে ৫২ লাখ মোবাইল সংযোগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৬৭,০০০ জন ডিলারকে। সিমকার্ড ডিলারদের বিরুদ্ধে ৩০০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিমকার্ড ডিলারদের পুলিশি ভেরিফিকেশন

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈষ্ণব বলেছেন, ‘জালিয়াতি রুখতে সিমকার্ড ডিলারদের ক্ষেত্রে পুলিশি ভেরিফিকেশনের নিয়ম বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি আমরা। যে সিমকার্ড ডিলারর নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁদের ১০ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।’ তবে বৈধ সিমকার্ড ডিলারদের কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পুরো দেশে আপাতত ১০ লাখ সিমকার্ড ডিলার আছেন। তাঁরা পুলিশি ভেরিফিকেশনের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Emergency alert message: ফোনে ‘এমার্জেন্সি অ্যালার্ট’ পেয়েছেন? হ্যাক হয়নি তো? এটার অর্থ কী আসলে?

‘বাল্ক কানেকশন’-এ ইতি 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এতদিন যে ‘বাল্ক কানেকশন’ প্রদান করা হত, তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকমিউনিকেশন দফতর। অর্থাৎ এবার থেকে একসঙ্গে অনেক মোবাইলের কানকেশন নেওয়া যাবে না। সেটার পরিবর্তে ‘বিজনেস কানেকশন’ বলে নয়া একটি বিষয় চালু করা হবে। সেই নয়া মডেলের আওতায় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাকে সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। বৈষ্ণব বলেন, ‘উদাহরহণ হিসেবে বলা যায় যে একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, প্যান রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হবে। যা বিজনেস কানেকশন প্রদানের পথ প্রশস্ত করবে।’

আরও পড়ুন: Cyber Fraud: হেল্পলাইন খুঁজতে গিয়ে খোয়া গেল ১ লাখ, তদন্তে বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের, সাইবার থানার নম্বরগুলো জেনে নিন

বৈষ্ণব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার যে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার ফলে জালিয়াতির ঘটনা কমবে। এক বছরের মধ্যে সেই সংখ্যাটা অনেক কমে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘দেশের নির্দিষ্ট যে সব জায়গা (জামতাড়া গ্যাং) থেকে প্রতারকরা জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছে, তারা ইতিমধ্যে চাপে পড়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ এবং পুলিশের থেকেও আমরা সেরকম খবর পাচ্ছি।’