Rape: ভালো ব্য়বহারের জন্য় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ‘ধর্ষক’, স্বভাব বদলায়নি! বাড়ি ফিরে আবার ধর্ষণ

দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। তার মধ্যেই একের পর এক বিতর্ক সামনে আসছে মধ্যপ্রদেশে। আবার সংবাদ শিরোনামে মধ্য়প্রদেশ। ৩৫ বছর বয়সি ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। জেলে ভালো ব্যবহারের জন্য তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। আর সেই ব্যক্তি আবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্য়ায় সাতনা জেলার ঘটনা। খবর এএনআই সূত্রে।

অভিযুক্ত সাতনার কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা। নাম রাকেশ ভার্মা। বয়স ৩৫ বছর। অভিযোগ সে ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকাকে রেওয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একেবারে মারাত্মক উদ্বেগের ঘটনা। সিটি সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ মহেন্দ্র সিং চৌহানের মতে, ১২ বছর আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল। ওই বাচ্চাটির বয়স ছিল সাড়ে চার বছর। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ১০ বছরের কারাদন্ড হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি মাত্র সাত বছর জেলে ছিলেন। কারণ ভালো ব্যবহারের জন্য তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। আর তারপর আবার সেই একই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত রাকেশ ভার্মা। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় । কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত করছে।

চকোলেট খাওয়ানোর নাম করে ভুলিয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রাকেশ। এরপর শুরু হয় যৌন অত্যাচার। তার ঠাকুমা বিষয়টা জানতে পেরে চিৎকার করে উঠেছিলেন। ততক্ষণে এলাকা থেকে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।