Tuberculosis treatment: যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসায় উৎসাহিত করতে আশা কর্মীদের ভাতা দেবে রাজ্য

গত কয়েক বছরে রাজ্যে টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতির  মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতে টিবি রুখতে কী কী করণীয় সে বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী দুবছরের মধ্যে বাংলা থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আশা কর্মীদের উৎসাহিত করতে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

আরও পড়ুন: টিবির উপসর্গ কী কী? কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন, জেনে নিন

সাধারণত দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা সম্পন্ন করেন না। মূলত সেই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা যাতে সম্পন্ন হয় সে কথা মাথায় রেখেই আশা কর্মীদের উৎসাহ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য আশা কর্মীদের ২৫০ টাকা ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন কয়েক লক্ষ মানুষ। সেই সমস্ত রোগীদের যক্ষ্মা যাতে নির্মূল করা যায় তার জন্য তাদের চিকিৎসা করা হয় যক্ষা নির্মূলকরণ (ডট) প্রকল্পের  আওতায়। সাধারণত তৃণমূল স্তরে আশা কর্মীরা এই সমস্ত যক্ষ্মা রোগের ওষুধ খাইয়ে আসেন। তাই এ বিষয়ে আশা কর্মীদের উৎসাহ করতে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

প্রসঙ্গত, আগামী ২ বছর সময়ের মধ্যে বাংলার ৭০ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যাতে যক্ষা মুক্ত করা যায় সে বিষয়ে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।আধিকারিকদের মতে, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়তে গেলে তার জন্য একমাত্র উপায় হল প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই ইতিমধ্যেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। লক্ষ্য একটাই ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মাকে বাংলা থেকে নির্মূল করা।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় টিবি আক্রান্তের সংখ্যা ১২, ৮২৯ জন। এছাড়া, মৃত্যু হয়েছে ২৭২ জনের। কলকাতার পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা স্থান। এই দুই জেলাতেও টিবি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই পরিস্থিতিতে টিবি আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর উপরে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের তরফে কলকাতা পুরসভার কাছে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে কলকাতা ১০ টি জোনে ভাগ করতে হবে। তারপর প্রতিটি জোনে নজরদারি চালাতে হবে। বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে মানুষকে টিবি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। কী কারণে টিবি হতে পারে? টিবি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত? এবিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, টিবি আক্রান্ত হলে প্রথমে অনেকেই তাতে বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। ফলে পরবর্তী সময়ে এটি আরও বাড়তে থাকে। তাই টিবি আক্রান্তের সংখ্যা খুঁজে বের করাটা খুবই প্রয়োজন।