ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগেই বদলি করা হল বিডিওকে, ব্যালক বিতর্কের জের?

উপনির্বাচনের আগেই সরানো হল ধূপগুড়ির বিডিওকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট বিতর্কে জড়ান বিডিও শঙ্খদীপ দাস। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। এরই মধ্যে সরানো হল ধূপগুড়ির বিডিওকে। যদিও সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি এর সঙ্গে আদালতের মামলার কোনও সম্পর্ক নেই।

শঙ্খদীপ দাসকে সরিয়ে পাঠানো হল জলপাইগুড়ির ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেকটর পদে। অন্য দিকে তাঁর জায়গায় বিডিও পদে আনা হল জয়ন্ত রায়কে। ধূপগুড়ির বিডিও হিসাবে চার বছর এক মাস দায়িত্বে ছিলেন শঙ্খদীপ দাস। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে বিধানসভা উপনির্বাচন। ৮ সেপ্টেম্বর ফলপ্রকাশ। তার আগে এই বদলি প্রশ্নের অবকাশ রাখে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পেপার নয়ছয় সংক্রান্ত একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে একটি মামলা করেন শাকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম প্রার্থী শাহনাজ পারভীন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ৪৭টি ব্যালট উদ্ধার হয়। তা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে বিডিওকে। আরও অভিযোগ ওঠে, ২৮৯টি ব্যালট থাকা সত্বেও গণনার সময় দেখা যায় ২৯৬টি।

(পড়তে পারেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনছে মমতার সরকার, বিধানসভায় নতুন স্ট্র‌্যাটেজি)

বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নের মুখে বিডিও বলেন, হারিয়ে যাওয়া ব্যালটের কথা তিনি জানতেন না। উদ্ধার হওয়া ব্যালট পরে তিনি বাক্সে ঢোকাবেন বলে সরিয়ে রখেছেন বলে জানান বিডিও। তাঁর এই উত্তর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন। তবে নবান্নের দাবি, এই মামলার সঙ্গে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এটি রুটিন বদলি।

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘আমাদের কাছে সরকারি নির্দেশ এসে। সেই নির্দেশ মেনেই ধূপগুড়ির বিডিও কে বদলি করা হয়েছে।’

(পড়তে পারেন। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে পৃথক বৈঠক কেন? শাহের ডাক নিয়ে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন)