পুকুরে জাল ফেলতেই উঠে এল দেদার ইলিশ, অবাক মৎস্যজীবী থেকে আধিকারিকরা

এবারের বর্ষায় ভালই ইলিশ খেতে পেয়েছে মানুষজন। কারণ বাংলাদেশের নদী এবং সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। দেড় কেজি থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ মিলেছে দেদার। এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম কমেনি। ফলে এখন আবার পাতে তোলা যাচ্ছে না রূপোলি ফসল। তবে এই বিপুল দামে মাছ বিক্রি করে পকেট ভরছেন মৎস্যজীবীরা। ইতিমধ্যেই পুকুর থেকে মিলেছে প্রায় ১০০টি ইলিশ মাছ। বাংলাদেশের বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুরের একটি বড় পুকুরে দেদার ধরা পড়েছে ইলিশ মাছ। যদিও মাছগুলির ওজন ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। এই মাছ ধরা পড়ার বিষয়টি এখনও বুঝতে পারছেন না মৎস্য দফতরের অফিসাররা।

মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, ইলিশের আধিক্য দেখা যায় সাগরে। কারণ ইলিশ যেখানে বাস করে সেই জলে থাকে লবণ। একমাত্র মা ইলিশ ডিম পাড়তে একটা সময় সাগরের লবনাক্ত জল থেকে নদীর মিষ্টি জলে চলে আসে। এবার সাগর সংলগ্ন নদীর জলেই বিপুল পরিমাণে ধরা পড়ছে ইলিশ। কিন্তু পুকুরে ইলিশ ধরা পড়েছে তাও আবার বড় হয়ে, একথা আগে শোনেননি মৎস্য দফতরের কর্তারা। রায়হানপুরের পুকুরে ধরা পড়েছে ৯৫টি জ্যান্ত ইলিশ। সিদাম মিয়ার পুকুরে এই ঘটনা ঘটেছে। সিদাম মিয়ার ছেলে সুজন বলেন, ‘‌প্রথমে জালে ওঠে ১১টি ইলিশ। তা দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। তখন আবার জাল ফেললে মোট ৯৫টি ইলিশ মাছে ধরা পড়ে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পুকুরে ধরা পড়া ইলিশের ওজন গড়ে ৪০০–৬০০ গ্রাম। আর স্বাদও বেশ। মৎস্যজীবী ইদ্রিশ চৌধুরী বলেন, ‘‌আমরা আগে পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। তবে এবার পেয়েছি। কল্পনার বাইরে থাকলেও বাস্তবে এবার পরখ করলাম।’‌ আর সিদাম মিয়া বলেন, ‘‌ওই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার পর সবাই আমরা অবাক হয়ে পড়ি। তা শুনেই এলাকার মানুষ ভিড় জমান। এই মাছগুলি আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছি। সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পা রাখল বাংলায়, এবার কোন প্রকল্পের তদন্তে নামছে?

ঠিক কী জানাচ্ছে মৎস্য দফতর?‌ মৎস্য দফতর একটু অবাক হলেও বিষয়টি পরখ করেছে। এই ঘটনার পর বরগুনা জেলার মৎস্য দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘‌পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার খবর পেয়ে দেখতে যাই। বিষয়টি একেবারে সত্য। পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠে এটা আগে দেখা যায়নি। কোন‌ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। তবে নদী থেকে ইলিশগুলি সাগরে ফেরার পথে এখানে ঢুকে পড়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’‌