সাতক্ষীরায় এক যুগে কৃষি জমি কমেছে ১০ হাজার একর

সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজারবাগান এলাকার জাবের আলী। পৈতৃক সূত্রে ১১ একর কৃষি জমি পেয়েছিলেন। তিনি মৃত্যুর সময় ৩ ছেলে, ৫ মেয়ে রেখে যান। তার মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগ কৃষি জমি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং অনেকে কৃষি জমিতে ঘর তৈরি করেছেন। তাদের কৃষি জমির পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ একরের কাছাকাছি। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে এই পরিবারের কৃষি জমি কমেছে ৯ একর। একইভাবে সাতক্ষীরা শহরসহ পুরো জেলাজুড়ে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে।

জেলাজুড়ে কৃষি জমিতে বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, মাছের ঘের, কাঁকড়া খামার গড়ে উঠার ফলে বিভিন্ন খাতে চলে যাচ্ছে কৃষি জমি। অপরিকল্পিত শিল্প কলকারখানা নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে সাতক্ষীরায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। এছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণেই আশঙ্কাজনকভাবে কৃষি জমি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে, কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনটি এখনও প্রস্তাবিত অবস্থায় রয়েছে। আইনটির প্রাথমিক খসড়া (বিল) সবার মতামতের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইনটি ৭ বছরেও পাস না হওয়ায় কৃষি জমি বাঁচানো যাচ্ছে না। দ্রুত আইনটি পাস করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরা জেলায় আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি। ফসলের মাঠে গড়ে উঠছে নতুন বসতি, ইটভাটা, পুকুর, মৎস্য ঘের, কাঁকড়া খামার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়েই বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ফসলি জমি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি জমি মৎস্য ঘেরে রূপান্তর হচ্ছে। কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনটি প্রস্তাবিত অবস্থায় থাকার কারণে সেই সুযোগ নিচ্ছে অনেক ভূমিখেকো। ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। এভাবে প্রতি বছর কমে যাচ্ছে আবাদি জমি, কমে যাচ্ছে খাদ্যশস্যের উৎপাদন।

কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনের আওতায়, সরকার দেশের সব জমির শ্রেণি নির্ধারণ করে দেবে। এতে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, আবাসন, নদী, সেচ, নিষ্কাশন, পুকুর, জলমহাল, মৎস্য এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা, নগরায়ন, ইটভাটা, শিল্পকারখানা, বসতভিটা, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো নির্মাণ ও যত্রতত্র বসতি প্রতিষ্ঠার কারণে অনেক কৃষিজমি অনাবাদি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে জেলায় অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রতিবছর অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বাড়ছে, কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। গাছগাছালি কমে যাওয়ায় পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরা পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখন কৃষি খানার সংখ্যা ৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৬, যাদের অধীন আবাদি জমি রয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ একর। ২০০৮ সালের কৃষিশুমারি অনুযায়ী, জেলায় কৃষি খানার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৮, যাদের অধীন আবাদি জমি ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৩০ একর। সেই হিসাবে ১২ বছরের ব্যবধানে সাতক্ষীরা মোট আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ৯ হাজার ২৬০ একর। অন্যদিকে কৃষি খানার বৃদ্ধি পেয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৭০৮। ২০০৮ সালের পর ২০১৯ সালে কৃষিশুমারি হয়।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, ৩ হাজার ৮৫৮ দশমিক ৩৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বাস। ২৩ বছর আগে জেলায় আবাদযোগ্য জমি ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার  ৬০৪ হেক্টর। এখন তা কমে এক লাখ ৬৫ হাজার ২৪৫ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি এলাকার আব্দুল বারী বলেন, গত ১০ বছরে আমার এলাকার ১০০ বিঘা জমি যেখানে ধানসহ অন্যান্য ফসল হতো সেই সব জমি কৃষি খাত থেকে অন্য খাতে চলে গেছে। এছাড়া ৪০ বিঘার বেশি জমি ঘর-বাড়ি স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরিতে চলে গেছে। এমনভাবে প্রতিবছর কৃষি খাতের জমি অন্য খাতে চলে যাচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনের উপর চাপ পড়বে।

ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাওহার দুদায়েভ স্নাতক পর্যায়ে গবেষণা করেছেন উপকূলীয় কৃষিজমির হ্রাস নিয়ে। ল্যান্ডস্যাট ৪-৫, ল্যান্ডস্যাট ৮ এবং সেন্টিনেল ২ স্যাটেলাইটের মোট ৭টি চিত্রের তুলনামূলক পর্যালোচনা করে তিনি দেখেছেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে গত ৩০ বছরে মোট কৃষিজমির শতকরা ৮৪ ভাগের অধিকাংশই ঘের এবং আংশিক বৃক্ষহীন জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-উপকূলীয় এলাকায় দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে কৃষি চাষের আওতায় জমি কমে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, আবাসন ও শিল্প উন্নয়নের কারণে জেলায় কৃষি জমির পাশাপাশি জলাশয়ও কমে যাচ্ছে। পুকুরগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে তিনি নিজের একটি বাড়ি তৈরি করছেন। এতে করে জমি কমে যাচ্ছে। একটি পরিবারের পাঁচ ভাই থাকলে তারা যদি ৩ কাঠা করে জমি ব্যবহার করে তাহলে ১৫ কাঠা জমি লাগে। সেগুলোর অধিকাংশই কৃষি জমি। কিন্তু সকল ভাই মিলে ৫তলা একটি বাড়ি করলে কৃষি জমি বেঁচে যেতে। সরকারিভাবে নির্দেশনা দিতে হবে কৃষি জমি কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তাহলে আমাদের কৃষি হ্রাস ও জলাশয় ভরাট অনেক অংশে কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভার অধিকাংশ পুকুর ভূমি মন্ত্রণালয়ের খতিয়ানে ডাঙ্গা হিসেবে দেখানো। তারা যখন পুকুর ভরাট করে তখন এটি নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর কিছু করতে পারছে না।

তবে আমরা শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিলেও জোরালোভাবে দেখছি সেটা কৃষি জমি কিনা। যেখানে দুই ফসল হয় সেখানে কোনভাবেই শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছি না। বিসিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি। প্লটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিল্প উদ্যোক্তাদেরও বলছি আপনারা পাশে না বাড়িয়ে উপরের দিকে বাড়ান। বিষটি নিয়ে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাবতে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিতে পারলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

জলবায়ু পরিষদ সাতক্ষীরার সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, বিগত কয়েক বছরে সাতক্ষীরার অনেক কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে গেছে। সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের পাশের অনেক কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় বুড়িগোয়ালীনিসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভিন্ন মাছ ও কাঁকড়ার প্রসেসিং প্লান্ট গড়ে উঠার মাধ্যমে অনেক কৃষি জমি হারিয়ে গেছে। শ্যামনগর উপজেলার ১০শতাংশ কৃষিজমি মৎস্য চাষে চলে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উপকূলীয় এলাকার অনেক মানুষ এখন শহরমুখী হচ্ছে তারা এখানে এসে জমি কিনে বাড়ি ঘর তৈরি করছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি জমি বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে প্রধানত কয়েকটি কারণে। কৃষকের দূরদর্শিতার অভাব, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ইটভাটা মালিকদের আগ্রাসন। এছাড়া নগরায়ন, শিল্পায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস, দূষণ, লবণাক্ততা, মরুকরণ নানা কারণে জেলার কৃষি জমি আজ হুমকির সম্মুখীন।

মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে মানুষের নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বিশেষত, নারী ও শিশুদের চলাচলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। অপরিকল্পিত শহর গড়ে উঠার ফলে শিশুদের মনোবিকাশে কোনও ব্যবস্থা নেই, নেই কোনও খেলার মাঠ, পার্ক এবং শিশু বিষয়ক কোনও পাঠাগার। ফলে একটি বন্ধ্যা সমাজ তৈরি হচ্ছে যেখানে মানবাধিকার বলে কিছু থাকছে না।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে এবং সরকারি নীতিমালা না মেনে ঘরবাড়ি, কলকারখানা হওয়ার কারণে কৃষি খাতের জমিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা শহর এবং উপকূলীয় এলাকায় কৃষি খাতের অনেক জমি জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। অনেক জমিতে ১২ মাস পানি থাকে এবং পানি সরানের ব্যবস্থা নেই। সে কারণেও অনেক কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমিতে ঘের হচ্ছে। যে মৎস্য ঘেরগুলো হওয়ার কথা ছিল সারাবছর যে জমিগুলোতে পানি থাকে সেখানে কিন্তু হচ্ছে তার উল্টো। যেখানে ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলানো সম্ভব সেখানে হচ্ছে মাছের ঘের। পরিকল্পনা ও জবাবদিহির অভাবে প্রতি বছর কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। তা না হলে সামনে কৃষিজমি কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদনসহ সমাজজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০০১ সালে জেলায় আবাদযোগ্য জমি ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার ৬০৪ হেক্টর। ২০১০-১১ সালে ওইটি কমে দাঁড়ায় এক লাখ ৭০ হাজার ৪১৯। ২০২২-২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী ওইটি এক লাখ ৬৫ হাজার ২৪৫ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। জেলায় কৃষি জমি বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, মৎস্য ঘেরসহ বিভিন্ন খাতে চলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি জমি কমে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়। তবে আমাদের এখানে খাদ্য উৎপাদনের খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। ফলন বেশি করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, নিবিড় ফসল চাষসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে এগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওসমান বিন নাসিম বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষা আইনটি এখনও প্রস্তাবিত অবস্থায় আছে। এখনও সংসদে পাস  হয়নি। এই আইনের মাধ্যমে কৃষি জমির সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে যেসকল কৃষি জমিতে একবার বা দুইবার ফসল উৎপাদন হয় অথবা চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত হয় সেই জমি কোনভাবে অকৃষি খাতে ব্যবহার করা যাবে না। এখানে আরও অনেক সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে যে ৪, ৫, ৬, ৯, ১০ ধারা উল্লিখিত বিধান ভঙ্গ করলে ওই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীগণ অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ধারা ৪ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ কৃষি জমি আছে তা এই আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ম্যাপ, ভূমি জোনিং অনুসারে বসত বাড়ি, উন্নয়নমূলক কাজ বা শিল্প কারখানা নির্মাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনুর্বর জমি ব্যবহার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এটি পাস না হওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে। দেশের বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলো কৃষি জমিতে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলেন। এই আইন পাস হলে তারা বেকায়দায় পড়ে যাবেন। আইনটি পাস হলে গায়ের জোরে ভূমি দখল বন্ধ হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা এটি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ইটভাটা করতে গেলে কৃষি বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কোনভাবেই কৃষি জমিতে ইটভাটা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। কৃষি জমিতে ইটভাটা, পুকুর খনন বা মাছের ঘের তৈরির খবর শুনলেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।