Modi’s Linkdin post: ক্রমশ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে ভারতবাসী-কর জমা দেওয়ার রিপোর্ট সহ একাধিক তথ্য হাতিয়ার করে দাবি মোদী

শিয়রে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার আগে, সমস্ত দলই তুলে ধরছে তাদের সাফল্যের খতিয়ান। এদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝে সদ্য ভারতের উন্নয়ের নানান দিক নিয়ে এসেছে একাধিক রিপোর্ট। এসেছে কর জমা সংক্রান্ত গবেষণাধর্মী বহু তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট। শুক্রবার সেই রিপোর্টগুলিকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ নিয়ে নানা খতিয়ান পেশ করেন।

দেশের অগ্রগতি নিয়ে যে দুটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে একটি এসবিআইয়ের রিপোর্ট। অন্যটি বিখ্যাত সাংবাদিক অনিল পদ্মনাভনের (হিন্দুস্তান টাইমস গ্রুপের দ্যা মিন্টের প্রাক্তন ম্যানেজিং এডিটর) লেখা রিপোর্ট। উল্লেখ্য, লিঙ্কড ইন-এ ‘ইন্ডিয়া রাইজিং প্রসপারিটি’ শীর্ষক একটি লেখায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এই দুটি রিপোর্টকে তুলে ধরে জানান, তিনি এমন বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছেন, যে খবর শুনে মানুষ ‘আনন্দিত হবে’। প্রতিটি রিপোর্ট থেকে কিছু বাছাই করা অংশ প্রধানমন্ত্রী লিঙ্কড ইন এ তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কড ইন এমন এক জায়গা, যেখানে পেশাগতভাবে বিভিন্নজন একজন অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। এসবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন যে, গত গত ৯ বছরে দেশের আয়করের নথি অনুযায়ী কোন কোন উন্নতি দেখা গিয়েছে, তার হিসাব। সেখানে ২০১৪ এর মূল্য়ায়নধর্মী বছর থেকে ২০২৩ এর আর্থিক বর্ষের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গড় আয় ৪.৪ লাখ থেকে ১৩ লাখ হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর কথায় ‘প্রশংসনীয়’। এছাড়াও উত্তর পূর্বের বেশ কিছু রাজ্যে আয়কর ফাইল করার ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির অঙ্ক তিনি তুলে ধরেছেন ওই রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী। তিনি তুলে ধরেছেন, উত্তর-পূর্বের মণিপুর, মিজরোম এবং নাগাল্যান্ড সহ ছোট রাজ্যগুলি গত নয় বছরে আইটিআর ফাইলিংয়ে ২০ শতাংশ এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর লিঙ্কড ইন পোস্টের স্ক্রিনশট।

এছাড়াও অনিল পদ্মনাভনের রিপোর্টে কর কাঠামোর প্রসারণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেই তথ্য তুলে ধরে লিঙ্কড ইন-এ প্রধানমন্ত্রী লিখছেন, কর কাঠামোর প্রতিটি ধাপে চোখে পড়ার মতো করে বেড়েছে আয়কর জমা দেওয়ার অঙ্ক। মোদী তাঁর নিজের লেখায় জানালেন, এই সমস্ত রিপোর্ট, ‘শুধু আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই প্রতিফলিত করে না, জাতি হিসেবে আমাদের সম্ভাবনার পুনরাবৃত্তি করে।’