Sheikh Hasina: হাসিনা পুত্রকে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে ২ সম্পাদকের ৭ বছরের জেল

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে সরকার বিরোধী দুই সংবাদপত্রের সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের কারাদণ্ড দিল ঢাকার মুখ্য নগর দায়রা আদালত। তাঁদের ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য নগর দায়রা আদালতে ওই দুই সম্পাদকের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। দুই সম্পাদকের নাম হল শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমান বিএনপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মাহমুদুর রহমান উপদেষ্টা ছিলেন। শেখ হাসিনার পুত্র তথা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র ছাড়াও অপহরণ করার চক্রান্তের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই দুই সম্পাদকের সমর্থকদের অভিযোগ, দেশের বিরোধীদের সমর্থন করার জন্য তাদের শাস্তি দিতেই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: BJP-র আমন্ত্রণে ভারতে আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দল, দেখানো হবে ‘কাজের পদ্ধতি’

শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পুত্রকে অপহরণ এবং হত্যার চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছিল এক দশক আগে। হাসিনা পুত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন তাঁকে অপহরণ করে হত্যার ছক কষা হয়েছিল বলে জানতে পারেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে দুই সম্পাদককে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। সরকারি আইনজীবী আবদুর রহমান খান কাজল সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এই মামলায় পাঁচজন অভিযুক্ত। সকলকেই সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রহমান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। পরে ২০১৬ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রহমান হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন বিশিষ্ট সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগ এবং হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু বিদেশে চিকিৎসার জন্য তিনি জামিন পেয়ে যান। যদিও এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজন এখনও পলাতক রয়েছে এঁরা হলেন বিএনপি-র সাংস্কৃতিক শাখা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর সহ-সভাপতি মহ।ম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর পুত্র রিজভী আহম্মেদ ওরফে সিজার এবং আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভুঁইয়া। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২০১৮ সাল থেকে কয়েকশো সরকার বিরোধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির সমর্থক দেশের একমাত্র অবশিষ্ট সংবাদপত্র দৈনিক দিনকাল ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ জয়কে অপহরণ ও হত্যার মামলা রুজু করে। এরপর ২০১৮ সালে সেই মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২২ সালে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে সাক্ষী দেন হাসিনা পুত্র। পড়ে বৃহস্পতিবার বিচারক আসাদুজ্জামান নুর ৫ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন।