Unacademy Sacking Controversy: শিক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেন পড়ুয়াদের, তাই শিক্ষকের চাকরি ‘খেল’ Unacademy!

সাম্প্রতিককালে অনলাইন পড়াশোনার প্রসার ঘটেছে। একাধিক সংস্থা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়াদের অনলাইনেই টিউশন দিয়ে থাকে এভাবে। সেই সব সংস্থার মধ্যে অন্যতম হল আনঅ্যাকাডেমি। সেই সংস্থারই এক শিক্ষক আইনের পাঠ পড়াতে পড়াতে পড়ুয়াদের বলেছিলেন, ‘শিক্ষিত প্রার্থীদেরই ভোট দেওয়া উচিত’। আর তাঁর এই মন্তব্যের জেরেই শিক্ষককে চাকরি থেকে বের করে দিল আনঅ্যাকাডেমি। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। জানা গিয়েছে, চাকরি হারানো শিক্ষকের নাম করণ সাঙ্গওয়ান।

এদিকে করণের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে আনঅ্যাকাডেমির যুক্তি, নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের স্থান নয় ক্লাসরুম। পড়ানোর সময় এই ধরনের কোনও বক্তব্য রাখা যাবে না, যাতে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। এই আবহে অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলা কি কোনও অপরাধ? উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কেজরিওয়াল। এই আবহে এই ইস্যুতে তিনি চাকরি হারানো শিক্ষকের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। যদিও আনঅ্যাকাডেমির সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান সাইনি এই বিষয়ে বলেন, ‘করণ সাঙ্গওয়ান সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমাদের তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে হয়েছে।’

সম্প্রতি করণের ক্লাসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম না হাসব না কাঁদব (সিআরপিসি তুলে নয়া বিধি আনার পরিপ্রেক্ষিতে)। আমিও অনেক খেটেছিলাম। আমার নোট তৈরি করা ছিল। আবার করতে হবে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন, এরপরে যেন শিক্ষিত কাউকে ভোট দেবেন। এমন কাউকে নয়, যারা শুধু বদলাতে জানে। এমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন যারা বিষয়টা বোঝে। শুধু নাম বদল করে না।’

এই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে সোশ্যায় মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক বার্তায় সাইনে লেখেন, ‘আমরা একটি শিক্ষা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। এটা করার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত শিক্ষাবিদদের জন্য একটি কঠোর আচরণবিধি তৈরি করেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরপেক্ষ ভাবে জ্ঞান আহরণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমরা যা কিছুই করি না কেন, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আমাদের শিক্ষার্থীরা থাকে। শ্রেণীকক্ষ ব্যক্তিগত মতামত ভাগ করে নেওয়ার জায়গা নয়। কারণ এতে পড়ুয়ারা ভুলভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে করণ সাঙ্গওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম।’

এদিকে এই আবহে করণ সাঙ্গওয়ান নিজের একটি পৃথক ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৯ অগস্ট তিনি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে সেই চ্যানেলে মুখ খুলবেন। করণ এই নিয়ে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে যার কারণে আমি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছি। আমার বেশ কয়েকজন ছাত্র বিচার বিভাগীয় পরিষেবা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সেই বিতর্কের কারণে তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের সাথে আমাকেও এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’