Engeneering student death: র‍্যাগিংয়েই মৃত্যু, রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত বাঙালি ছাত্রের বাবার

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই অন্ধপ্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক বাঙালি ছাত্রের। এই ঘটনার পরেই র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। এনিয়ে অন্ধপ্রদেশের থানাতে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেন মৃত ছাত্রের বাবা। তিনি এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আবার কি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা?‌ মেদিনীপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে

অন্ধ্রপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ওই ছাত্রের নাম সৌরদীপ চৌধুরী । তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালির বাসিন্দা। সৌরদীপ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বিজয়ওয়াড়ায় কেএল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলেন। ১৭ জুলাই থেকে তিনি হস্টেলে থাকতে শুরু করেছিলেন। এরপর ২৪ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ১১তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পড়ুয়া। খবর পেয়ে সেখানে রওনা দেন সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও তা মেনে নেননি সৌরদীপের বাবা। তাঁর অভিযোগ, এটি র‍্যাগিংয়ের ঘটনা। তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মৃত্যুর পর তার ছেলেকে একটি স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। সেখানে তিনি গিয়েছিলেন। পুলিশের পোশাকে কয়েকজন ছিলেন। কিন্তু, তিনি থানায় যেতে চাইলে পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছিল। ফলে তিনি সাদা কাগজে তিনি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও রিসিভ কপি তিনি পাননি। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হয়নি বলেও দাবি করেছেন ছাত্রের বাবা। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইনি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। 

ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের পাঁচ ছটি দাঁত ছিল না, গালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার স্পষ্ট দাবি ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে সৌরদীপ।অন্যদিকে, এই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ফোন করে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যে কোনও অভিযোগ নেই তা লিখে দিতে হবে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছেলের ভরতির টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেই টাকা ফেরত চাননি। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি।

মৃত ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল এবং লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।’ এদিকে, পুত্র শোকে কাতর হয়ে রয়েছেন সৌরদীপের মা। শোকে তিনি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুদীপবাবু।