বেঙ্গালুরু স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ঘটনাটি ঘটে আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ। জানা যায়, উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু’টিতে আগুন ধরে যায়। স্টেশন চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে কোনও যাত্রী ছিল না। তাই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে কী ভাবে, কোথা থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিক ট্রেনে আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে। যাতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
এর আগে সম্প্রতি আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে গত জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়, ট্রেনটি রানি কমলাপতি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় একটি কোচের ব্যাটারি বক্সে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর সামনে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। বিষয়টি পুরোপুরি খতিয়ে দেখে ট্রেনটিকে ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করে দেওয়া হয়।
এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়। জানা যায়, ফলকনুমা এক্সপ্রেসটি প্রায় সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। গন্তব্যে পৌঁছতে বাকি আর কয়েকটা মিনিট। সেই সময় দেখা যায়, এসি কামরা থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই আবহে আতঙ্ক দেখা দেয় যাত্রীদের মধ্যে। অপরদিকে উপস্থিত বুদ্ধিতে মাঝ পথেই ট্রেন থামিয়ে দেন লোকো পাইলট। তখন সেখানেই প্রাণ ভয়ে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। এদিকে সেই এসি কামরা ছাড়া অন্যান্য বগির যাত্রীরাও আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন মাটিতে।