স্কুলবাস ও পুলকারে এবার থাকবে ট্র্যাকার, বাড়ি থেকেই জানুন বাচ্চার লোকেশন

বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) বসানোর নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর।সেই মতোই গাড়িতে ভিএলটিডি বসাচ্ছেন গাড়ির মালিকরা। সেক্ষেত্রে গাড়ির মালিক এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা গাড়ির অবস্থান জানতে পারেন। এবার পড়ুয়াদের সুবিধার্থে স্কুল বাস এবং পুলকারগুলিতে এই অ্যাপ চালু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এর ফলে পড়ুয়ারা কোথায় আছে তা সহজেই অ্যাপ থেকে জানতে পারবেন অভিভাবকরা। ফলে পড়ুয়ারা স্কুল থেকে কখন ফিরবে তা নিয়ে আর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হবে না অভিভাবকদের। 

আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে পুলকার ও স্কুল বাসের ভাড়া বাড়ছে ৮-১৫ শতাংশ

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অ্যাপ প্রথমে স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। তারপর স্কুলের তরফে অভিভাবকদের এই অ্যাপ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে গাড়ির অবস্থান জানতে গাড়িতে ভিএলটিডি বসানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫০ হাজার গাড়িতে বসেছে ভিএলটিডি। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই অ্যাপ থেকে অভিভাবকরা পড়ুয়াদের অবস্থান জানতে পারবেন। যে গাড়িতে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ারা থাকবে সেই গাড়ির নম্বর দিলেই অভিভাবকরা গাড়ির অবস্থান জানতে পারবেন।

ভিএলটিডির পাশাপাশি স্কুল বাসে থাকছে প্যানিক বোতাম। যার সাহায্যে কেউ বিপদে পড়লে এই বোতাম টিপলে জানতে পারবে পুলিশ এবং পরিবহণ দফতর। সেই মতোই সেখানে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন। গত কয়েকদিন আগে একটি পুলকার দুর্ঘটনার পর পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই পদক্ষেপ। পরিবহণ দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুল বাস এবং পুলকার সংগঠনগুলি। এ বিষয়ে পুলকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত জানান, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা শিবির করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এই ধরনের অ্যাপ চালু হলে আরও ভালো হবে।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্যিক গাড়িতে ভিএলটিডি বসানো নিয়ে টানাপোড়েন চলছে গত বছর ধরে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের নিয়ম মেনে প্রথমে ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভিএলটিডি বসানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ওই সময়ের মধ্যে ভিএলটিডি না বসালে দৈনিক ৫০ টাকা করে জরিমানা করা হবে। এনিয়ে প্রতিবাদ জানান বাস মালিকরা। পরে দফায় দফায় এ নিয়ে বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে পরিবহণ দফতরের বৈঠক হয়। শেষমেষ ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে পর্যন্ত সেই সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু, তাতে নানান অসুবিধার কথা জানান বেসরকারি বাস মালিকরা। ফলে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়।