তন্ময় চট্টোপাধ্য়ায়
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর দায় কার তা নিয়ে চাপানউতোর কিছু কম হচ্ছে না। তবে এবার কলকাতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলকে নিশানা করে তির ছোঁড়েন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি মূলত দলীয় কর্মসূচিতে কলকাতায় এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই দায় এড়াতে পারেন না। সরকার অবশ্য়ই এব্যাপারে তদন্ত করবে।
তিনি জানিয়েছেন, যাদবপুর দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এটা পরিষ্কার যে Ragging রুখতে UGC গাইডলাইনকে মানা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায় নিতে হবে। কোনও ছাত্রকে Ragging করার অধিকার কারোর নেই।
এদিকে যাদবপুরের সায়েন্স বিভাগের ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী ছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি এদিন ডিনের চেয়ার ছেড়ে দেন। আর তার মধ্য়েই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর তোপ।
তবে সুবিনয় চক্রবর্তী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদ ছেড়়ে দিয়েছেন বলে খবর। তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে মনে করা হচ্ছে, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করা হয়েছে। তার জেরেও হয়তো তিনি পদ ছাড়লেন।
এদিকে অনেকের মতে বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘের বাংলা শাখার সভাপতি। আরএসএসের সঙ্গেও তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে থাকবেন। এদিকে গোটা ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজ্যপাল হলেন বাংলার বিজেপির নতুন সভাপতি, আর রাজভবন হল বিজেপির রাজ্য সদর দফতর।
তবে বুদ্ধদেব সাউ সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তিনি যে দলের প্রভাবতি শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এটা অস্বীকার করছে না গেরুয়া শিবির।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, কোনও শিক্ষাবিদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতেই পারে। তাঁরও থাকতে পারে। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে বলার মতো কোনও নৈতিক অধিকার কি তৃণমূলের আর আছে? রাজ্যপাল শুধু তাঁর আওতার মধ্য়ে থেকে তাঁর ক্ষমতার প্রয়োগ করেছেন।
এদিকে শনিবার কলকাতা পুলিশ যাদবপুরের এক প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ২০২১ সালের পাস আউট। এনিয়ে মোট ১৩জনকে গ্রেফতার করা হল।