Kolkata Doctor murders wife: স্ত্রীকে খুন করেছি! দেহ বাড়িতে, থানায় গিয়ে বললেন পিজির চিকিৎসক, শোরগোল বাগদায়

যে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানায় এই হাড়হিম করা ঘটনা। চিকিৎসক অরিন্দম বালা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলঘটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কলকাতার পিজি হাসপাতাল থেকে এমডি করছেন। সামনে একেবারে ঝকঝকে কেরিয়ার। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল এক মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, রবিবার সকালে দোতলা থেকে নেমে অরিন্দম জানান, স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি। এরপর তিনি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি? কেন এই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে? 

আসলে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসকের বয়স মাত্র ২৮ বছর। নীলগঞ্জের বাসিন্দা রত্নতমা দের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অরিন্দমের।তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। ছোটখাটো বিষয় নিয়েও অশান্তি হত। রত্নতমা মাঝেমধ্যে বাবার বাড়িতে চলে যেতেন। শনিবার রাতে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন অরিন্দম। এরপর তিনি দোতলায় উঠে যান। সকালবেলা তিনি নেমে আসেন দোতলা থেকে। তিনি ভাই ও বাবাকে বলেন, স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি। এমনটাই খবর। এরপর তিনি বাগদা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

সূত্রের খবর, নিজেরা পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম কিছুদিন সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বার বার নানা ইস্যুতে ঝগড়া শুরু হত। চিৎকার চেঁচামেচি লেগেই থাকত। অনেকেই বিষয়টি জানতেন। তবে মনে করা হচ্ছে শনিবার রাতে পরিস্থিতি চরমে ওঠে।

এবার প্রশ্ন তবে কি ওই চিকিৎসক পরিকল্পনা করেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন? তারপর ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। নাকি সবটাই রাগের মাথায় হয়ে গিয়েছে। তবে দোতলা থেকে নেমে ওই চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি খুন করেছেন স্ত্রীকে। এরপর নিজেই থানায় চলে যান।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এরপর স্ত্রীর নিথর, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধারালো কিছু দিয়ে মেরে স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই চিকিৎসক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।