চিপস–পপকর্ন–স্ন্যাক্স খেল হাতি, মালবাজারে ব্যক্তির স্কুটি থামিয়ে খাবার সাবার

ওদেরও খিদে পায়। শুধু মানুষের মতো বলতে পারে না। তবে বোঝাতে পারে। বুনো হাতি শুধু যে ধ্বংস করে এমনটা নয়। মাঝেমধ্যে প্রকৃতির মধ্যে চড়ে বেরিয়ে আনন্দও দেয়। তবে এদিন যে ঘটনা ঘটেছে তা একদিকে যেমন হাসির অন্যদিকে যাঁর সঙ্গে ঘটেছে তাঁর কাছে ভয়ের। এমনই ঘটনা ঘটেছে ডুয়ার্সের মালবাজারের রানিচেরা চা–বাগানের বড় লাইন বাগান এলাকায়। সেখানে স্কুটি থামিয়ে গজরাজ চিপস–পপকর্ন খেল। আর পেট ভরে যেতে সেখান থেকে চলেও গেল। কাউকে প্রাণে মারেনি এবং কোনও ক্ষতি করেনি।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক স্থানীয় ব্যক্তি। ডুয়ার্সের দিকে যাওয়ার সময় তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় গজরাজ। আর খিদে পেয়েছে সেটা বুঝিয়ে দেয়। এই দেখে ওই ব্যক্তি স্কুটি ফেলে রেখে চম্পট দেন। আর জঙ্গলের ভিতর থেকে উঁকি মেরে দেখতে থাকেন। তখন হাতিটি ওই ব্যক্তির স্কুটিতে থাকা চিপস–পপকর্ন এবং স্ন্যাক্স জাতীয় খাবারের প্যাকেট সব সাবার করে দেয়। ডুয়ার্সের রানিচেরা চা–বাগানে ভুট্টাবাড়ির জঙ্গলে দাঁড়িয়ে আপন মনে আয়েস করে খেতে থাকে সেই সব খাবার। তবে হাতিটির ওই স্কুটির কোনও ক্ষতি করেনি। পেট ভরে সব খেয়ে হাতিটি সন্তুষ্টির হুঙ্কার ছেড়ে ল্যাজ নাড়তে নাড়তে চলে যায়।

তারপর ঠিক কী ঘটেছে?‌ হাতি যে এভাবে পপকর্ন, চিপস খেতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে ওই ব্যক্তি বিশ্বাস করতে পারতেন না। প্রত্যেকটি খাবার হাতি খুব পরিষ্কার করে খেয়ে নেয়। একটি দানাও সে মাটিতে ফেলে নষ্ট করেনি। আসলে ওই হাতিটির খুব খিদে পেয়েছিল। তাই সব চিপস ও স্ন্যাকস জাতীয় খাবার সে আনন্দে খেয়ে নেয়। ওই ব্যক্তি দূর থেকে সবটা দেখলেন। ওই জিনিসগুলি নিজের দোকানের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। হাতির সামনে পড়ে যান তিনি। তবে হাতিটি কোনও ক্ষতি না করে খেয়ে চলে যাওয়ায় তাঁর কোনও খেদ নেই। বরং তিনি শেষে হেসেছেন।

আরও পড়ুন:‌ অন্ধপ্রদেশে বাঙালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ যখন ওই ব্যক্তি দেখলেন হাতিটি স্কুটিতে থাকা বেশিরভাগ খাবার খেয়ে নিয়ে নিশ্চিন্তে চলে গেল তখন তিনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। হাতিটি চলে যাওয়ার পর স্কুটিতে করে ফিরে যান ওই ব্যক্তি। তবে সব খাবার খায়নি হাতি। কিছু প্যাকেটে শূর পর্যন্ত ঠেকায়নি। ততটাই সে খেয়েছে যতটা তার খিদে ছিল। বাকি জিনিসপত্র যেমন থাকার তেমনই ছিল। খাবার খেয়ে পেট ভরে গেলে হাতিটি রানিচেরা চা–বাগানে ঘোরাঘুরিও করে। তারপরে হাতিটি ভুট্টাবাড়ি জঙ্গলে চলে যায়। এই ঘটনায় অবশ্য এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।